নেপালকে গিলে ফেলার চেষ্টা চীনের, দখল করে নিল রুই গ্রাম

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নেপালকে (Nepal) যতই নিজের বন্ধু বলে সবার সামনে জাহির করুক না কেন, চীন (China) কিন্তু পেছন থেকে ছুরি মারতে নেপালকেও ছেড়ে দেয়নি। সূত্র মারফত জানা যায়, চীন নেপালের গোর্খা জেলার রুই গ্রাম (Rui village) দখল করে নিয়েছে।

নেপালের রুই গ্রাম দখলের উদ্যেশ্য চীনের
৭২ টি বাড়ি বিশিষ্ট এই গ্রাম এখনও নেপালেরই অংশ হিসাবে জানা গেছে। একটি সরকারী রিপোর্ট থেকে জানা যায়, রুই গ্রামের রেকর্ড এখনও নেপালের মধ্যেই রয়েছে। তবে নেপালের কর্মকর্তাদের অবহেলার জন্য এটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে চীন সরকার জিনপিং এই অঞ্চলটিকে নিজের দেশের অংশ বলে দাবী করছে।

thediplomat 2017 03 28 15 04 40

জমি রাজস্বের অংশ জমা পড়ে নেপাল সরকারের কাছে
জানা গিয়েছে, রুই অঞ্চলের নাগরিকরা এখনও অবধি তাদের জমি রাজস্বের অংশ নেপাল সরকারের কাছেই জমা দেয়। কিন্তু তারা চীন সরকারের অধিকৃত তিব্বতের বাসিন্দা হয়ে উঠেছে। চুমুবাড়ী পল্লী পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বীর বাহাদুর লামা জানিয়েছেন, সামা, সামদো এবং রুই গ্রামের লোকদের ভাষা, সংস্কৃতি এবং উপাসনা স্থান সবই এক।

ভারত বিরোধী মনোভাব
অনেকসময় রুইয়ের বাসিন্দারা সামেদাতে এসে তাঁদের বসতি গড়ে তোলে। আবার অনেকেই তিব্বতে যোগ দেওয়ার বদলে পালিয়ে এসে সামেদাতে যোগ দেয়। তারা প্রায় ১০০০-২০০০ বছররে পুরনো দলিলপত্র নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সেখানকার রেডিওতে ভারত বিরোধী কথাবার্তা প্রচারিত হতে থাকে। রেডিওতে বলা হয়,উত্তরাখণ্ডের কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরা নেপালের অংশ। তাই ভারতের উচিত, তা ফিরিয়ে দেওয়া। এইভাবে নেপালের বিভিন্ন মানুষের মধ্যে ভারত বিরোধী মনোভাব গড়ে তোলা হত।

gorkha new gau tibet rui gau rui vally

সীমানা বিভ্রাট
ঐতিহাসিক রমেশ ধুঙ্গলের জানিয়েছেন, গৌর্খা জেলার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত রুই এবং তিঘা উভয় গ্রামই নেপালের অংশ। তবে নেপাল কর্তৃপক্ষদের অবহেলার কারণে তা বর্তমানে অবলুপ্তির পথে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সীমানা অঞ্চল পরিষ্কার করে বোঝা গেলেও, তিব্বতের অংশ এখনও সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর