বাংলাহান্ট ডেস্ক: আমেরিকা (USA) ও তাইওয়ানের (Taiwan) সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের (Nuclear Warheads) ভাণ্ডার বাড়াচ্ছে চিন (China)। মনে করা হচ্ছে, ২০৩৫ সাল অবধি চিনের কাছে ৭০০টি পরমাণু অস্ত্র থাকবে। যা এখনকার থেকে ৩ গুণ বেশি। এই খবরটি দিয়েছে জাপানের (Japan) একটি সংবাদমাধ্যম। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) এই পরিকল্পনায় সিলমোহর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) ও সেনাপ্রধান।
আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই চর্চা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে এক প্রকার ঠান্ডা যুদ্ধও চলেছে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আমলে। আমেরিকা ও চিনের মধ্যে মাত্রাছাড়া উত্তেজনা রয়েছে। তাই পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার আরও বাড়িয়ে ওয়াশিংটনের (Washington) বিরুদ্ধে শক্তি বাড়াতে চাইছে বেজিং (Beijing)। চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি (CCP) তাদের সামরিক শক্তি বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছে।
২০২২ সালে আমেরিকা জানিয়েছিল, ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৫০০ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে চিন। এর মাধ্যমে তারা তাদের সেনার আধুনিকরণের লক্ষ্যে আরও এগিয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিন যদি তাদের সেনার আধুনিকরণের লক্ষ্যপূরণ করে নেয়, তাহলে তা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ সেই মুহূর্তে তারা পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে ‘নো ফার্স্ট ইউজ’ নীতি থেকে সরে আসবে।
অর্থাৎ প্রথমেই পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে পিছুপা হবে না জিনপিংয়ের দেশ। এর ফলে বিপদে পড়তে পারে গোটা বিশ্ব। কারণ পরমাণু হামলায় প্রাণ হারাবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। অন্যদিকে এর প্রভাবও প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে থাকবে। গত বছর নভেম্বরে চিনা সামরিক বাহিনীর শীর্ষ সংস্থার তরফে প্রাণঘাতী শক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে জানানো হয়। রাশিয়ায়র পারমাণবিক ক্ষমতার ব্যাপারে জানিয়েছিল তারা।
রাশিয়ার শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি কী ভাবে ন্যাটো (NATO) ও মস্কোর (Moscow) মধ্যে যুদ্ধ রুখতে পারে তা ইতিমধ্যেই বিশ্লেষণ করেছে চিন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে চিনের কাছে ৫৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে। উল্লেখ্য, ওই বছরই চিন সেনা শতবর্ষ পূরণ করবে। এরপর ২০৩৫ সালের মধ্যে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা পৌঁছে যাবে ৯০০তে। ইতিমধ্যে রাশিয়ার কাছে ৫৯৭৭টি পরমাণু অস্ত্র রয়ছে। অন্যদিকে, আমেরিকার কাছে রয়েছে ৫৪২৮টি পারমাণবিক অস্ত্র।