বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও প্রাক্তন মার্কিন কূটনীতিবিদ নিকোলাস বার্নস (Nicholas Burns) করোনা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেছেন। শুক্রবার সকাল দশটায় এর ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। বার্নস বলেছিলেন যে, চীন করোনার ভাইরাসের লড়াইয়ে জয়লাভ করছে বলে মনে হয় না। ভারত ও আমেরিকা বিশ্বের বৃহত্তম দুটি গণতন্ত্র। আমাদের সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। উভয়েরই একে অপরের জন্য দরজা খোলা রাখা উচিত। বার্নস বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক।
তিনি আরও বলেছিলেন যে, ভবিষ্যতে মহামারী দেখা দিলে উভয় দেশ একত্রে তাদের দরিদ্রদের জন্য অনেক কিছু করতে পারবে। করোনার সংকটে মোদী, ট্রাম্প এবং শি জিনপিংয়ের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। আমি মনে করি, পরের সংকট এলে আরও ভাল কাজ আশা করা যায়। আমরা চীনের সাথে দ্বন্দ্ব চাই না। আমি সহিংসতা ছাড়াই সমবায় উপায়ে প্রতিযোগিতার পক্ষে।
এরপরই রাহুল গান্ধী বলেন আমরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। সংকট কাটিয়ে ওঠার বিষয়েও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তিনি তাঁর দেশের ডিএনএ জানেন। হাজার হাজার বছর ধরে এই দেশের ডিএনএ একইরকম রয়ে গেছে। দেশের এই চরিত্রের কোনও পরিবর্তন হয়নি। রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতীয়রা খুবই সহনশীল জাতি ছিল কিন্তু বর্তমানে সহনশীলতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। সহনশীলতার সেই ডিএনএ তিনি আর দেখতে পাচ্ছেন না বলেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভারতে হিন্দু মুসলিম শিখ নিয়ে বিবাদ হচ্ছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান আমেরিকায়ে বিভাজন চলছে। এইভাবেই মানুষ দুর্বল করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন আগে চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত উত্তাপ নিয়ে রাহুল গান্ধীর মতামত জানতে চান বার্নস। তাই কংগ্রেস সাংসদ তাঁকে দেশের এই চরিত্রের কোনও পরিবর্তন হয়নি। রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতীয়রা খুবই সহনশীল জাতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে সহনশীলতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। সহনশীলতার সেই ডিএনএ তিনি আর দেখতে পাচ্ছেন না বলেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভারতীয়রা খুবই সহনশীল জাতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে সহনশীলতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। সহনশীলতার সেই ডিএনএ তিনি আর দেখতে পাচ্ছেন না বলেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভারতে হিন্দু মুসলিম শিখ নিয়ে বিবাদ হচ্ছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান আমেরিকায়ে বিভাজন চলছে। এইভাবেই মানুষ দুর্বল করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বার্নস বলেছিলেন যে, নিজেকে সংশোধন করার অনুভূতিটি আমাদের ডিএনএতে রয়েছে। গণতন্ত্র হিসাবে, আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে সমাধান করি। আমরা হিংসা চাই না। এটিই ভারতীয় ঐতিহ্য , যার কারণে আমরা শুরু থেকেই ভারতকে ভালবাসি। ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি পতাকায় নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। তারা বলে যে একা সমস্যার সমাধান করতে পারে। আমি মনে করি তারা বিভিন্নভাবে কর্তৃত্ববাদী তবে আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলি শক্তিশালী। আমাদের অর্থনীতি চালানোর মতো ইঞ্জিনিয়ার নেই। সুতরাং, ভারত তার প্রকৌশলী প্রেরণের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারে। আমি মনে করি কমপক্ষে বিধিনিষেধ থাকা উচিত। বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রচারে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।