বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাকাশ সেক্টরে প্রতিবেশী দেশ চিন (China) ক্রমশ তার আধিপত্য বৃদ্ধি করছে। শুধু তাই নয়, ড্রাগন একাধিক নতুন মিশনও লঞ্চ করছে। যা সারা বিশ্বের স্পেস এজেন্সিগুলিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। এমনিতেই চিনের “রিইউজেবল স্পেস প্লেন” বহুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্ব জানতে পারেনি এই স্পেস প্ল্যানের মাধ্যমে চিন ঠিক কি করতে চায়?
এদিকে, এই আবহেই এবার একটি অবাক করা তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সেটির তৃতীয় মিশনে উৎক্ষেপণের মাত্র ৪ দিন পর, চিনা স্পেস প্লেন শেনলং (Shenlong) পৃথিবীর কক্ষপথে ৬ টি অজ্ঞাত বস্তু পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য যে, চিনা স্পেস প্লেন “শেনলং” “ডিভাইন ড্রাগন” নামেও পরিচিত।
https://twitter.com/coastal8049/status/1736245777301905423?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1736245777301905423%7Ctwgr%5E257b0e302b9f6b16c54b757259c3411bf934f68d%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fhindi.gadgets360.com%2Fscience%2Fchina-space-plane-divine-dragon-sent-6-mysterious-objects-into-space-news-4716684
এই প্রসঙ্গে Space.com-এর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, উৎক্ষেপণের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে পর্যবেক্ষকরা চিনা মহাকাশযানের ওপর নজর রাখছেন। তখনই তাঁরা কিছু রহস্যময় বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ওই অবজেক্টগুলিকে “A”, “B”, “C”, “D”, “E” এবং “F” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। স্কট টিলি নামের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এই অবজেক্টগুলিকে পর্যবেক্ষণ করছেন। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “এক্স”-এ তিনি সেগুলিকে “রহস্যময় উইংম্যান” (Mysterious Wingman) বলে সম্বোধন করেছেন।
আরও পড়ুন: বছর শেষে বড় খবর! লাফিয়ে বাড়ল ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার, সামনে এল পরিসংখ্যান
স্কট টিলি লিখেছেন যে, তিনি একটি চিনা স্পেস প্লেন থেকে এস-ব্যান্ড সংকেত শনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এবার বিকিরণকারীরা (Emitter) মাঝে মাঝে সংকেত পাঠাচ্ছে। স্পেস ডটকমের সাথে কথা বলার সময়ে টিলি জানান, এই সংকেতগুলি পূর্ববর্তী শনাক্ত করা সংকেতগুলির সাথে অনেকাংশে মিল রয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সাম্প্রতিক সংকেতগুলি ট্র্যাক করতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনেক দিন লেগেছে।
আরও পড়ুন: বড় খবর! শুধুমাত্র ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরির সুযোগ, এভাবে করুন আবেদন
টিলি এবং তার অন্যান্য সহকর্মীরা মনে করছেন যে, সংকেতগুলি অবজেক্ট বা তাদের চারপাশ থেকে আসছে। উল্লেখ্য যে, চিনের মহাকাশযানটি যে কক্ষপথে রয়েছে এর আগেও দু’বার সেই একই কক্ষপথে গিয়েছিল। তবে, সেখানে রেডিও বিহেভিয়ার আগের তুলনায় ভিন্ন। এদিকে, চিনের স্পেস প্লেনটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কাছে একটি রহস্য রয়ে গেছে। এমনকি, এই স্পেস প্লেন নিয়ে চিন কি করতে চায় তা কেউই জানে না।