বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীন (China) লাগাতার পাকিস্তানকে (Pakistan) আধুনিক হাতিয়ার দিচ্ছে আর পাকিস্তান সেটার ব্যবহার ভারতের বিরুদ্ধে করবে বলে আশঙ্কা জাহির করা হচ্ছে। এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্যে জানা গিয়েছে যে, চীন-পাকিস্তান আর্থিক করিডোর (CPEC) এর আড়ালে জৈবিক হাতিয়ার বানানোর কাজ করছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে যে, বিগত পাঁচ বছর ধরে দুই দেশ মিলে এই হাতিয়ার বানাচ্ছে। আর এই ষড়যন্ত্রে করোনা ভাইরাসের জন্য বদনাম বুহান ইনস্টিটিউট যুক্ত আছে।
https://twitter.com/Anthony_Klan/status/1298119001352974336
রিপোর্ট অনুযায়ী, বুহানের ল্যাবকে এই গোটা প্রোজেক্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অ্যান্থনি ক্লান এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বুহানের গবেষকরা পাকিস্তানে ২০১৫ থেকে এই খতরনাক ভাইরাসের উপর গবেষণা করছে। এই গবেষণায় ভাইরাসকে হাতিয়ারে বদলানোর কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও চীন-পাকিস্তান যেই চুক্তি করেছে সেই চুক্তির গোপন অংশ এটি। চীন আর পাকিস্তান বায়ো ওয়ারফেয়ারের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তিন বছরের গোপন চুক্তি করেছে আর সেটি নিয়ে কাজও চলছে।
#Pakistan and #China have entered a secret 3-year agreement to expand potential #BioWarfare capabilities, including several research projects related to the deadly agent anthrax, the Klaxon reported citing multiple intelligence sources
https://t.co/XQtwSVSnn6— Economic Times (@EconomicTimes) July 24, 2020
রিপোর্টে বাদী করা হয়েছে যে, দুই দেশের গবেষকদের একটি সংযুক্ত স্টাডি মেডিকেল জার্নালে ছাপা হয় সেখানে এই খতরনাক ভাইরাসের উল্লেখ করা আছে। এই রিসার্চ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে এই বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত করা হয়েছে। সেখানে জুনোটিক প্যাথোজেনস (পশুদের থেকে মানুষের মধ্যে যাওয়া ভাইরাস) কে চিহ্নিত করা হয়েছে আর এর লক্ষণের বিষয়ে বলা হয়েছে। এই রিসার্চে পাকিস্তান বুহান ইনস্টিটিউটকে ভাইরাস সংক্রমিত সেলস দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছে। এর সাথে সাথে CPEC এর সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা আছে।
https://twitter.com/aaj_urdu/status/1287614042102693889
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই রিসার্চে বেস্ট নীল ভাইরাল, মর্স-করোনাভাইরাস, ক্রিমিয়া-কঙ্গো হেমোরজিক ফিভার ভাইরাস, থ্রোবোসাইকোটেনিয়া সিন্ড্রোম ভাইরাস আর চিকনগুনিয়াকে হাতিয়ার বানানোর কাজ চলছে। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, চীন আর পাকিস্তান একটি চুক্তি করেছে। আর সেই চুক্তিতে এই দুই দেশ সংক্রামক রোগ নিয়ে গবেষণা করছে। যদিও, এই গবেষণার আড়ালে তাঁরা জৈবিক হাতিয়ার বানানোর কাজও করছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রিসার্চের জন্য হাজার হাজার পাকিস্তানি পুরুষ, মহিলা আর বাচ্চাদের ব্লাড স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে। যাঁদের স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে তাঁরা পশুপালনের সাথে যুক্ত আর দুর্গম এলাকায় বসবাস করে।