মশলাদার ‘ব্যাঙ চিলি” অর্ডার দিয়ে ভুগতে হল চিনা ব্যক্তিকে, প্লেট থেকেই লাফ দিল মুণ্ডুহীন ব্যাঙ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই একাধিক খাদ্যাভ্যাসের প্রচলন রয়েছে। এমনকি, সেই রেশ চলে আসছে বছরের পর বছর ধরেই। তবে, সেইসব খাদ্যতালিকায় মাঝে মাঝে এমন কিছু সব খাওয়ারের প্রসঙ্গ উঠে আসে যা কার্যত কল্পনাই করতে পারিনা আমরা। এমনকি, আমাদের প্রতিবেশী দেশ চিনেই ভয়ঙ্কর সব জিনিস খাদ্য হিসেবে গৃহীত হয়।

আমরা এমনিতেই চিনাদের অদ্ভুত খাদ্যাভাসের কথা প্রায়ই শুনে থাকি। শুধু তাই নয়, বলা হয় যে, যে চিনারা কুকুর-বিড়ালকে ধরে নিয়েও তাদের মাংস খায়। পাশাপাশি, চিনে এমন অনেক বাজার রয়েছে, যেখানে বাদুড় এবং বানর থেকে শুরু করে অনেক প্রাণীর মাংস বিক্রি হয়। জানলে অবাক হবেন যে, ওইসব বাজারে কুমির এবং সাপের মাংসও পাওয়া যায়।

এমতাবস্থায়, সম্প্রতি ঠিক সেইরকমই এক অদ্ভুত খাওয়ার খেতে গিয়ে রীতিমতো চোখ কপালে উঠল এক ব্যক্তির। ব্যাঙের একটি মশলাদার রেসিপি খেতে গিয়ে যে ওই ব্যক্তিকে এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে তা কার্যত কল্পনাই করতে পারেননি কেউই। এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। আর তাতেই স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে সমগ্ৰ বিষয়টি।

স্পাইসি ফ্রগ চিলির অর্ডার দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি:
ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চিনের সিচুয়ান প্রদেশে এক ব্যক্তি একটি রেস্তোরাঁতে স্পাইসি ফ্রগ চিলির অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু, যখন তাঁকে এটি প্লেটে পরিবেশন করা হয় ঠিক তখনই ঘটে চরম বিপত্তি। মূলত, ওই ব্যক্তিকে “বুলডগ ফ্রগ চিলি” দেওয়া হয়। এটি প্রস্তুত করতে প্রথমে ব্যাঙের মাথা কাটা হয়। তারপর সেটি লঙ্কার তেল এবং গোলমরিচ দিয়ে ম্যারিনেট করা হয়। এরপর মশলা দিয়ে রান্না করে পরিবেশন করা হয় ওই খাওয়ার।

কিন্তু, এতদূর সব ঠিকঠাক থাকলেও, ওই খাওয়ারটি যখন ব্যক্তিটিকে পরিবেশন করা হয় এবং তিনি খেতেও উদ্যত হন ঠিক সেই সময়েই হঠাৎ শিরশ্ছেদ করা ব্যাঙটি প্লেট থেকে লাফিয়ে ওঠে টেবিলের ওপর। এমতাবস্থায়, সকলেই হতচকিত হয়ে যান সেখানে। এমনকি, চেংডু শহরে অবস্থিত এই রেস্তোরাঁটির ভিডিওটিই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই ওই ভিডিও চিনের Tiktok সংস্করণ Douyin-এ শেয়ার করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে ব্যাঙটিকে তার পা ও হাত নাড়াতে দেখা যায়। এদিকে, এই খাবারটি দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। সেই সঙ্গে বিরক্তও হয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ আবার এই খাবারটিকে “জম্বি ফ্রগ” বলেও অভিহিত করেছেন। অনেকে তো আবার স্পষ্টভাবে প্রতিক্রিয়ার মারফত জানিয়ে দিয়েছেন যে, চিন এতটাই নির্লজ্জ হয়ে পড়েছে যে সারা বিশ্বে করোনা মহামারী ছড়িয়ে দেওয়ার পরেও ব্যাঙ-কুকুর-বিড়ালের মাংস অবলীলায় খেয়ে চলেছে সে দেশের মানুষ।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর