বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে চিনা মোবাইল কোম্পানিগুলি (Chinese Smartphone Companies) ক্রমাগত আয়কর দপ্তরের রাডারে রয়েছে। সম্প্রতি, Xiaomi, Vivo, Oppo-এর মত চিনা জায়ান্ট মোবাইল সংস্থাগুলির অফিসেও অভিযান চালানো হয়েছে। মূলত, ভারত সরকার Oppo, Vivo এবং Xiaomi-এর মত কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে অবৈধ করসংক্রান্ত লেনদেনের তদন্ত করছে।
এছাড়াও, Wechat, Tiktok সহ মোট ৩০০ টি চিনা মোবাইল অ্যাপকে গত এক বছর যাবৎ ভারত সরকার নিষিদ্ধ করেছে। সম্ভবত এই কারণেই চিনা কোম্পানিগুলি ভারতের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলি ভারত ছাড়া অন্য এমন কোনো দেশ খুঁজছে, যেখানে তারা মোবাইল ফোন তৈরি করতে পারে। একই সময়ে, অনেকে আবার বলছেন যে, ভারতে লেবার কস্ট (শ্রমিকদের মূল্য) ক্রমাগত বাড়ছে, যার কারণে এই চিনা কোম্পানিগুলি তাদের ব্যবসা এমন একটি দেশে স্থানান্তরিত করতে চায় যেখানে তাদের এই ব্যয় কমতে পারে।
এইসব দেশের দিকে ঝুঁকছে তারা: এই প্রসঙ্গে গ্লোবাল টাইমসের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চিনা কোম্পানিগুলি ভারত ছাড়া বিকল্প হিসেবে মিশর, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মত দেশগুলির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। মূলত, কোম্পানিগুলি এইসব দেশেই মোবাইল উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করতে চায়।
এমতাবস্থায় দাবি করা হচ্ছে, ওই মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ওইসব দেশে তাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা, লোকাল পলিসি ও লেবার কস্ট-এর হিসাব করছে। এর পাশাপাশি দেশগুলির সরকারের সঙ্গে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যাট স্থাপনের ক্ষেত্রে চুক্তিও করা হবে। এদিকে, এইসব চিনা কোম্পানিগুলি অন্যান্য দেশে উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তরিত করার কারণে ভারত ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
বার্ষিক মোবাইল উৎপাদন হবে ৪.৫ মিলিয়ন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই Oppo মিশরে ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি মোবাইল ফোন প্ল্যান্ট স্থাপন করছে। এমতাবস্থায়, Oppo প্ল্যান্টের গড় বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হল ৪.৫ মিলিয়ন। অনুমান করা হচ্ছে যে, চিনা কোম্পানিটি উৎপাদন কারখানা স্থাপন করার পর পরবর্তী ৫ বছরে মিশরে ৯০০ টিরও বেশি চাকরির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।