বাংলাহান্ট ডেস্ক: চিনের সঙ্গে ভারতের (India) বিরোধ আজ কারও অজানা নয়। শুধু সীমান্তেই নয়, চিন কীভাবে ভারতের বাজারও দখল করে রেখেছে তাও সবাই জানেন। কিন্তু ভারত চাইছে স্বনির্ভর হতে। তাই আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। তবে যে কোনও লক্ষ্যপূরণে দরকার দেশবাসীর মদত। সেটিই এবার করে দেখালেন ভারতীয় নাগরিকরা। হোলি (Holi 2023) উপলক্ষ্যে বাজারে বিকোচ্ছে পিচকারি, আবির, রং। এর মধ্যে চিনে তৈরি জিনিসও রয়েছে। ভারতে তৈরি জিনিসের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে এগুলিও।
কিন্তু চিনে (China) তৈরি পিচকিরি এবং অন্যান্য জিনিস এ বার বর্জন করেছেন আমজনতা। ভারতীয়রা এ বার স্বদেশী জিনিসের দিকেই ঝুঁকছেন। চিনের তৈরি জিনিস বাজারে পড়েই রয়েছে। অনেকটাই বিক্রি বেড়েছে ভারতে তৈরি জিনিসের। এর জেরে আত্মনির্ভর ভারত হওয়ার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। চিনের জিনিস বর্জন করে ভারতীয় মানুষ দেখিয়ে দিচ্ছেন, চিনের উপর থেকে নির্ভরতা কীভাবে কমাতে হয়।
দিল্লির বিখ্যাত সদর বাজারে ঢালাও বিক্রি হয়েছে ভারতে তৈরি পিচকারি, আবির ও অন্যান্য জিনিসের। ক্রেতারা চিনা জিনিসের থেকে স্থানীয় জিনিসকেই বেশি পছন্দ করছেন। এক বিক্রেতা জানালেন, “এ বছর চিনা জিনিসের তেমন বিক্রি নেই। ক্রেতারা ভারতে তৈরি জিনিসের দিকেই বেশি ঝুঁকেছেন।” তার মতে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রেতারা তাঁর দোকানে গিয়ে শুধুমাত্র স্থানীয় জিনিসেরই খোঁজ করছেন।
এর আগে হোলির সামগ্রী বিক্রির ক্ষেত্রে চিনা সামগ্রীই বাজার দখল করে রেখেছিল। ফলে এই খাতে সেভাবে ঢুকতে পারছিলেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে সময় বদলেছে। এ বার স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই বাজার দখল করার দিকে এগিয়ে চলেছেন। চিনা সংস্থাগুলির বিক্রি দেশের বাজারে অনেকটাই কমে গিয়েছে। এক ক্রেতা বলেন, “আমি স্থানীয় জিনিসই কিনছি। বাজারে চিনা সামগ্রী কমে গিয়েছে। সেগুলি প্রতিস্থাপন করছে ভারতীয় সামগ্রী।”
অন্য একজন ক্রেতা জানালেন, স্থানীয়ভাবে এই জিনিস উৎপাদন হলে মানুষ কাজ পাবেন। এগুলি বিক্রি বেশি হলে তাদেরও লাভ হবে। তাই তিনিও এ বার স্থানীয় জিনিস কিনছেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যোগে ভালই সারা দিয়েছেন দেশবাসী। তারই একটি প্রতিফলন দেখা গেল এ বছরের হোলির বাজারে।