আড়াইমাস চিংড়িঘাটা ব্লক! শুরু মেট্রোর ‘ফাইনাল’ কাজ, জেনে নিন যাতায়াতের জন্য কোন পথ ধরবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মেট্রোর কাজের জন্য ৭৫ দিন ট্রাফিক ব্লক থাকবে চিংড়িঘাটা মোড়ে। আগামী আড়াই মাসের জন্য কলকাতা ও সল্টলেক সংযোগকারী রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাইপাস মেট্রোর কাজের জন্য। ট্রাফিক ব্লকের ফলে কোন রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে সেই ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ।

চিংড়িঘাটা মোড় ইতিমধ্যেই ঘিরে ফেলা হয়েছে। মেশিন-গাড়িও চলে এসেছে ইতিমধ্যে। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ আশা করছে, মেট্রোর কাজ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই শেষ হবে। তারপর চিংড়িঘাটা মোড় থেকে তুলে দেওয়া হবে ট্রাফিক ব্লক। নিউ গড়িয়া-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রো অংশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা শুরুর ক্ষেত্রে।

আরোও পড়ুন : ‘২৫ কেজি ওজন কমেছে, ফেটেছে মাথাও’, বিষ্ফোরক বালুর আইনজীবী, শোরগোল রাজ্যে

মেট্রো কর্তৃপক্ষ নিউ গড়িয়া-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ অংশের ৩১৯ নম্বর স্তম্ভ তৈরি করার জন্য ট্রাফিক ব্লকের আর্জি জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে ওই জায়গায় ‘ট্র্যাফিক ট্রায়াল’ শুরু হয় গত ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে। তারপর মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।

আরোও পড়ুন : লোন শোধ করতে গিয়ে নাজেহাল? করে ফেলুন এই চারটি কাজ, এক্কেবারে নষ্ট হবে না CIBIL স্কোর

কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ বুধবার থেকে ট্রাফিক ব্লক করার অনুমতি দেয়। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগমকে (আরভিএনএল) এই সিদ্ধান্তের কথা কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ জানায় মঙ্গলবার।

kolkata metro 600

কোন কোন রুট দিয়ে যানবাহন ঘোরানো হবে?

• ইএম বাইপাস এবং চিংড়িঘাটা ক্রসিং থেকে নিউ টাউন বা সল্টলেক সেক্টর ফাইভের দিকে আগামী ৭৫ দিন কোনও গাড়ি যেতে পারবেনা।

• যে যে গাড়িগুলি (বাস ছাড়া) ইএম বাইপাস থেকে নিউ টাউন এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভের দিকে যাবে, সেগুলিকে ঘুরতে হবে ব্রডওয়ে বা জলবায়ু বিহার দিয়ে।

• এছাড়াও আগামী ৭৫ দিন ঘুরিয়ে দেওয়া হবে নিউ টাউন এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী বাসগুলিকেও। ইএম বাইপাস এবং ব্রডওয়ে ক্রসিং থেকে বাসগুলিকে ব্রডওয়ে হয়ে যেতে হবে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর