কেএমডিএ এগিয়ে এল চিংড়িঘাটার যানজট সমস্যা মেটাতে, তৈরি হবে নতুন সেতু

Published on:

Published on:

Chingrighata traffic jam-free new bridge under KMDA's initiative

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শহরের অন্যতম ব্যস্ত ও যানজটপূর্ণ অঞ্চল হল চিংড়িঘাটা (Chingrighata)। এবং তারা আশেপাশে বাইপাস এলাকা এবার পাচ্ছে নতুন পরিকাঠামোর ছোঁয়া। কারণ যানজট সমস্যা দূর করতে এবার সায়েন্স সিটি মোড় থেকে ক্যাপ্টেন ভেরি পর্যন্ত একটি নতুন স্টিল সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অফ অথরিটি। আর এই সেতুটি হলে ওই অঞ্চলের প্রতিটি দিনে যানজট অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যানজট মুক্ত চিংড়িঘাটা! কেএমডিএর উদ্যোগে নতুন সেতু (Chingrighata)

চিংড়িঘাটা (Chingrighata) মোড় শহরের পূর্বাংশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক সংযোগস্থল। কারণ সেখান থেকে সল্টলেক, নিউ টাউন, তিলজলা, কসবা, রুবি, গড়িয়া থেকে আসা গাড়িগুলির একটু বড় অংশ এই রাস্তায় এসে মিলিত হয়। যার ফলে ব্যাপক পরিমাণে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী এবার হলেন কেএমডি।

Chingrighata traffic jam-free new bridge under KMDA's initiative

আরও পড়ুন: রেজ়ালা খেতে ভালোবাসেন? মাছ দিয়েও বানাতে পারেন এই লোভনীয় পদ

কারণ কেএমডি এর পরিকল্পনা মত, সেতুতে ক্যাপ্টেন ভেরির পাশে দক্ষিণ থেকে উত্তরের দিকে বাইপাসের ওপর একটি বিকল্পের গেটোয় হিসেবে কাজ করবে। যার ফলে কিছুটা হলেও ওই রাস্তায় যানজটের চাপ কম পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কেএমডি সূত্রে জানা গিয়েছে এই রাস্তাটি প্রায় ষাট মিটার দৈর্ঘ্য ও দশ মিটার প্রস্থের এই সেতুর নকশা তৈরি করা হয়েছে। আধুনিক কার্শওয়ে ও নিরাপদ ফুটপাথ থাকবে। আর এই সেতু তৈরি করতে আনুমানিক খরচ হতে পারে ১০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ও প্রাথমিক অনুমোদন মিলেছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।

এই বিষয়ে কেএমডি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে চিংড়িঘাটার পাশের বাইপাস অংশ সংকীর্ণ হওয়ায় বহু গাড়ি, বাস ও মিনিবাসের গতি মারাত্মকভাবে কমে যায়। যার ফলে সেখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এই নতুন সেতু হলে পরে যানবাহন গুলো বাইপাসে আরো দ্রুতগতিতে চলাচল করবে বলে মনে করছেন তারা। এছাড়াও এতে যে শুধুমাত্র যানজট কমবে তা নয়। পাশাপাশি জ্বালানি বাজবে ও দূষণের পরিমাণ কিছুটা কম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও কেএমডি ইতিমধ্যে বাইপাসের প্রশস্ত করনের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ করেছে। যার ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া। এছাড়াও সেই সঙ্গে সেতু নির্মাণের প্রাথমিক ভূমি পরিমাপ ও নকশার পরিকল্পনা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলছে (Chingrighata)।