বাংলাহান্ট ডেস্ক: অর্জুন সিং (Arjun Singh) এর ঘর ওয়াপসির খবরে যারা এতটুকু খুশি নন তাদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)। বারংবার দলবদল একটি রোগের মতো, যার চিকিৎসা দরকার। স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন চিরঞ্জিৎ।
জল্পনা আগে থেকেই ছিল। সেটাই সত্যি করে আবারো বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন অর্জুন সিং। ফেরার কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাই দল ছেড়েছিলেন। এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই ঘরের ছেলে আবার ঘরে ফিরে এসেছেন।
যদিও বিষয়টাকে অত হালকাভাবে নিতে রাজি নন চিরঞ্জিৎ। অর্জুনের প্রত্যাবর্তন নিয়ে তৃণমূলের অন্যান্যরা কিছু না বললেও মুখে কুলুপ আঁটতে রাজি নন চিরঞ্জিৎ। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তাঁর খোঁচা, অর্জুন বলেছেন বিজেপির জন্য বাংলার উন্নয়ন আটকে আছে। কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, তৃণমূলের জন্য। এখন দল বদল করে কথাটাকে স্রেফ ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
গোটা বিষয়টাকে ‘হাস্যকর’ বলে কটাক্ষ করে চিরঞ্জিৎ আরো বলেন, যারা দলবদল করছেন তাদের সঙ্গে সঙ্গে কোনো পদ না দিয়ে অন্তত এক বছর বসিয়ে রাখা উচিত বলে তাঁর মত। তাহলে আর কেউ এত ঘন ঘন দলবদল করবে না।
নিজের মন্তব্যের সপক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, নিজেদের স্বার্থ বজায় রেখে তারপরেই দল বদলানো হচ্ছে। কারণ দল বদলানোর পরেই দেখা যাচ্ছে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল। অর্থাৎ ওই শর্তেই দল বদলানো হচ্ছে। তাই চিরঞ্জিতের দাওয়াই, দল বদলালে পাঁচ বছর বা অন্তত এক বছরের জন্য বসিয়ে রাখা উচিত।
এ প্রসঙ্গে আরেক বিজেপি ত্যাগী বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়কেও একহাত নিয়েছেন চিরঞ্জিৎ। বাবুলের এই সিদ্ধান্তে দলের লাভের বদলে ক্ষতিই হয়েছে বলে মত তাঁর। কীভাবে? চিরঞ্জিৎ বলেন, উপনির্বাচনে বাবুল জিতেছেন বটে। কিন্তু জয়ের ব্যবধান অনেকটাই কমে গিয়েছে। আগে যেখানে ৭০-৮০ হাজার থাকত, সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজারে। অর্থাৎ মানুষ এই বদলটা মেনে নিতে পারেনি বলেই মত চিরঞ্জিতের।