বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতিকে ‘আলবিদা’ জানানোর কথা ঘোষনা করার পর থেকেই শোরগোল পড়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে (babul supriyo) নিয়ে। বিজেপির অন্দরে বাবুল ও দিলীপ ঘোষ সংঘাত বিতর্ক এই ঘটনায় আরো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। উপরন্তু আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (chiranjit chakraborty)।
রাজনৈতিক সন্ন্যাস প্রসঙ্গে এক সময়ের সতীর্থ বাবুলেরই পক্ষ নিয়েছেন চিরঞ্জিত। আর এই সুযোগে বিরোধী গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তাঁর বক্তব্য, দিলীপ ঘোষ এবং বাবুল সুপ্রিয়র স্ট্যাটাস কখনো এক হতে পারে না। আর সেখানেই মূল গণ্ডগোল। বারাসতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিরঞ্জিত বলেন, বাবুল সুপ্রিয় যতটা আবেগপ্রবণ তাতে ওর ধৈর্য নেই যে মন্ত্রক হাত থেকে বেরিয়ে গেলে নতুন উদ্যমে দশ বছর রাজনীতি করে সেটা ফের ছিনিয়ে নেওয়া।
চিরঞ্জিত আরো বলেন, যারা রাজনীতিবিদ তাদের রাজনীতিটাই একমাত্র উপায়। কিন্তু বাবুল একজন তারকা। রাজনীতিই যে তাঁর করতে হবে এমন কোনো মানে নেই। রাজনৈতিক আঙিনায় সম্মান না পেলে ছেড়ে দিতেই পারে। এই বিষয়ে নিজের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, এক সময় তাঁর রাজনীতি ছাড়ার কথায় দলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ও তো তারকা। দল ছেড়ে দিতেই পারে”।
চিরঞ্জিৎ বলেন তিনি নিজে একসময় বাবুলকে বলেছিলেন রাজনীতির পেশা বদলাতে। এর জেরে নিজের গানের কেরিয়ারেরও তিনি ক্ষতি করেছেন বলে মন্তব্য করেন চিরঞ্জিৎ। তাঁর কথায়, “বাবুল যে স্ট্যাটাস, সেলিব্রিটি হিসেবে যে চাহিদা তা কোনোদিনই দিলীপ ঘোষের স্ট্যাটাসের সঙ্গে মিলবে না। ওখানেই সংঘাতটা। অমিতাভ বচ্চন হোক বা রাজেশ খান্না কোনো বড় সেলিব্রিটিই রাজনীতিতে বেশিদিন টেকে না।”