বাংলাহান্ট ডেস্ক: চুমকি নাম নিয়ে শুরু। নাচে তুখোড় মেয়েটাই পরে বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী, দেবশ্রী রায় (Debasree Roy)। টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী, তাও আবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত। এই ৬১ বছর বয়সে এসেও ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’র তালে নাচাতে পারেন সবাইকে। কিন্তু দেবশ্রী অভিনয়েই ভাল, রাজনীতিতে আসা তাঁর উচিত হয়নি, মত অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর (Chiranjit Chakraborty)।
৮ অগাস্ট দেবশ্রী রায়ের জন্মদিন। এদিন সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কলম ধরে সহ অভিনেত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন চিরঞ্জিৎ। কার্যতই রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী দেবশ্রী। শুধু বাইরেই দেখনদারি নয়, অভিনয়ও ক্ষুরধার ছিল তাঁর আর এখনো আছে। একসঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন চিরঞ্জিৎ দেবশ্রী। দুজনের জুটি বেশ জনপ্রিয় ছিল টলিউডে।
চিরঞ্জিতের কথায়, দেবশ্রী যেমন সুন্দরী তেমন সুন্দর তাঁর ব্যবহার। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া নিয়ে অহঙ্কারও নেই মনের মধ্যে। কিন্তু এত গুণী হয়েও রাজনীতিতে টিকতে পারলেন না দেবশ্রী। চিরঞ্জিৎ স্বীকার করেছেন তিনি নিজেও রাজনীতি বোঝেন না। তবুও টিকে আছেন এখনো।
পুরনো দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে চিরঞ্জিৎ জানান, বিধানসভায় আগে পাশাপাশি বসতেন তিনি আর দেবশ্রী। এক একদিন জিন্স পরে আসতেন তিনি, এক একদিন আবার সাজতেন শাড়িতে। হাসি ঠাট্টা করতেন চিরঞ্জিতের সঙ্গে। তখনি নাকি দেবশ্রী বলতেন রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা।
সেটাই করেছিলেন দেবশ্রী। ১০ বছর পর ছোটপর্দার হাত ধরেই ফেরেন অভিনয়ে। ‘সর্বজয়া’ প্রথম থেকেই হিট। যদিও প্রচুর ট্রোল হয়েছিলেন। বয়স নিয়েও কুৎসিত আক্রমণ করেছিলেন নেটনাগরিকদের একাংশ। কিন্তু সিরিয়ালের টিআরপি সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও সে টিআরপি বেশিদিন টেকেনি। সময়ের আগেই শেষও হয়ে যায় সর্বজয়া।
চিরঞ্জিতের মতে, দেবশ্রী যদি নিজের বয়সের অনুযায়ী চরিত্র বাছতেন তবে হয়তো ভাল করতেন। এত কটুক্তি, ট্রোল হত না। বাংলায় এখনো অভিনেত্রীদের বয়স দিয়ে জনপ্রিয়তার বিচার হয়।