বাংলাহান্ট ডেস্ক: সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) মৃত্যুর পরে। তবুও প্রাণচঞ্চল, লড়াকু মেয়েটাকে এখনো ভুলতে পারেনি কেউ। ঐন্দ্রিলা রয়ে গিয়েছেন সবার মনে, সবার চিন্তায়। অনেকে তাঁর এবং সব্যসাচীর ছবি, ভিডিও রেখে দিয়েছেন টাইমলাইনে। ঐন্দ্রিলা শর্মারা সত্যিই হারিয়ে যায় না।
দশ দিন পরে শোক অনেকটাই সামলে নিয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। কিন্তু ঐন্দ্রিলার পরিবার এখনো বিধ্বস্ত। প্রচণ্ড শোকের মধ্যেই একে অপরকে সামলানোর চেষ্টা করছেন। পরিবারের সবথেকে ছোট সদস্য ছিলেন ঐন্দ্রিলা, সবথেকে আদরেরও। ছটফটে মেয়েটাকে ভাল না বেসে থাকাই যেত না। সে আর কোনোদিন ফিরে আসবে না, এই কঠিন বাস্তবও যে মেনে নেওয়া যায় না।
সংবাদ মাধ্যমকে আরো এক মন খারাপ করে দেওয়া খবর জানান ঐন্দ্রিলার বাবা মা। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাস নাগাদই সব্যসাচীর সঙ্গে মেয়ের বিয়েটা দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। সব্যসাচীর বাবার সঙ্গেও নাকি এ বিষয়ে কথা হয়েছিল তাঁদের ফোনে। তিনি বলেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি ঐন্দ্রিলাদের বাড়িতেও আসবেন।
কিন্তু এক নিমেষে সবটাই সবটাই হয়ে গেল। কান্নাভেজা গলায় ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা বলেন, সব্যসাচী ঐন্দ্রিলা অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ছিলেন। সমস্ত কাজে একসঙ্গে এগিয়ে যেতেন। লকডাউনেও অনেকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা।
ঐন্দ্রিলা তাঁর পরিবারের প্রাণ স্বরূপ ছিলেন। ছোট মেয়ে নেই, একথা এখনো মানতে পারছেন না তাঁরা। তাই এখনো পর্যন্ত তাঁর স্মৃতিতে কোনো আয়োজন করেননি তাঁর পরিবার। তবে ঐন্দ্রিলাদের পুরনো বাড়ি বহরমপুরে তাঁর স্মৃতিতে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বুধবার।
এখনো ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতে কথা বলার সময়ে গলা ধরে আসে তাঁর মা বাবার। চোখ বন্ধ করলে মেয়ের যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুহূর্তগুলো ভেসে উঠছে। কিন্তু তারপরেই নিজেদের শক্ত করছেন তাঁরা। বাবা মায়ের চোখে জল একদম দেখতে পারতেন না ঐন্দ্রিলা। তাঁরা কাঁদলে মেয়েটাই যে কষ্ট পাবে!