বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজস্থানের চুরু পক্সো আদালত মঙ্গলবার প্রায় পাঁচ বছরের পুরনো একটি ধর্ষণ মামলার রায় দিয়েছে। ১৬ বছরের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে ৫০ বছর বয়সী ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ধর্ষণের এই ঘটনার পর নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এর পর তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ১৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দিয়েছে। হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি চুরু জেলার রতনগড় থানা এলাকায়।
POCSO আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর বরুণ সাইনি জানিয়েছেন যে ধর্ষণের এই ঘটনাটি ২০১৭ সালে রতনগড় থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে ঘটেছিল। ঘটনার দিন নির্যাতিতা তার এলাকাতে একাই ছিলেন। এ সময় তার খামারের প্রতিবেশী হরলাল জাট সেখানে আসে। নাবালিকাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে সে। অভিযুক্ত মেয়েটিকে হত্যার হুমকিও দেয়। এতে ধর্ষিতা ভয় পেয়ে প্রথমে কাউকে জানায়নি।
ধর্ষিতার পক্ষের উকিলের মতে, নাবালিকার বাবা ২০১৭ সালের অক্টোবরে রতনগড় থানায় এই বিষয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। নির্যাতিতার বাবা তার রিপোর্টে বলেছেন যে তার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে পেটে ব্যথার অভিযোগ করার পরে তাকে গ্রাম থেকে রতনগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তার নাবালিকা মেয়েকে গর্ভবতী বলে জানান এবং তাকে চুরুতে রেফার করেন। এর পর নাবালিকা মেয়েটি তার পরিবারকে সব ঘটনা খুলে বলে।
২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে নির্যাতিতা জেলা হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।সেই থেকেই এই মামলা চলছিল রাজস্থানের চুরু পক্সো আদালতে। অবশেষে অভিযুক্তের শাস্তিতে কিছুটা হলেও খুশি নির্যাতিতার পরিবার।