বাংলা হান্ট ডেস্ক: সপ্তাহান্তের ভর সন্ধ্যেবেলায় কার্যত শিউরে ওঠার মত ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা (Kolkata)। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যে নাগাদ ভারতীয় জাদুঘরের (Indian Museum) দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফের বারাকের আরমার ইনচার্জ অর্থাৎ অস্ত্রাগারের দায়িত্বে কর্মরত অফিসার সুবীর ঘোষ হঠাৎই এলোপাথারি গুলি ছুঁড়তে থাকেন। এদিকে, তাঁকে বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ২ জন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক সিআইএসএফ (CISF) কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।
পাশাপাশি, আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ডিএসপি পদমর্যাদার আরও এক অফিসার। আপাতত, তিনি ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা পুলিশ, কম্যান্ড বাহিনী এবং অ্যাম্বুল্যান্স। পাশাপাশি, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে কম্যান্ড বাহিনী ওই ব্যক্তির খোঁজে জাদুঘরের ভিতরে ঢুকেছে। এছাড়াও, চলছে মাইক দিয়ে আত্মসমর্পনের জন্য ঘোষণা।
যদিও, সিআইএসএফ-এর ওই অফিসারকে এখনও শান্ত করা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সাড়ে ছ’টা নাগাদ প্রথম গুলির শব্দ শোনা যায় সেখানে। এরপর একনাগাড়ে একাধিক গুলি চালানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনায় পথ চলতি সাধারণ মানুষের চোখে মুখে আতঙ্ক রয়েছে। এমনিতেই, শনিবার হওয়ার সুবাদে জাদুঘরে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি ভিড় থাকে। এমতাবস্থায়, কোনো সাধারণ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় বারাকের সামনে থাকা একটি পুলিশের গাড়ির সামনের কাঁচ ভেদ করে গুলি ঢুকে যায়। পাশাপাশি,গাড়ির ভিতরে রক্তের দাগও দেখা গিয়েছে। এর ফলে ওই গাড়ি লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছে কিনা সেই বিষয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায়, ওই অফিসারের খোঁজে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বারাক চত্বরে ঢুকেছেন অন্তত ২৫-৩০ জন সিআইএসএফ জওয়ান।
পাশাপাশি, ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ড্রাগন লাইট নিয়ে গিয়ে ভেতরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জাদুঘরের পাশেই রয়েছে বিধায়কদের হস্টেল। এমতাবস্থায়, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিড স্ট্রিট। পাশাপাশি, গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।