বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice Of India) ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (Dhananjaya Yeshwant Chandrachud) শনিবার দেশে ৩ টি নতুন ফৌজদারি আইন প্রণয়নের প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি, তিনি জানান, এটি ভারতের পরিবর্তনের একটি “স্পষ্ট লক্ষণ”। প্রধান বিচারপতির মতে, নতুন আইন ভারতের আইনি কাঠামোকে ফৌজদারি বিচার সংক্রান্ত একটি নতুন যুগে রূপান্তরিত করেছে।
উল্লেখ্য যে, “অপরাধমূলক বিচার ব্যবস্থার প্রশাসনে ভারতের প্রগতিশীল পথ” শীর্ষক একটি সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে তিনি জানান যে, “নাগরিক হিসেবে আমরা সেগুলিকে আপন করলেই” নতুন আইনগুলি সফল হবে। এছাড়াও, নতুন ফৌজদারি বিচার আইন প্রণয়নকে সমাজের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসাবে বর্ণনা করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে ভারত তার ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, নতুন প্রণীত আইনগুলি ফৌজদারি বিচারের উপর ভারতের আইনি কাঠামোকে একটি নতুন যুগে রূপান্তরিত করেছে। তাঁর মতে ভিকটিম তথা ভুক্তভোগীদের স্বার্থ রক্ষা এবং অপরাধের তদন্ত ও বিচারে দক্ষতা বাড়াতে জরুরি সংস্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয়রা বয়কট করতেই উধাও ৪০% পর্যটক! ড্যামেজ কন্ট্রোলে এই দেশের শরণাপন্ন মলদ্বীপ
প্রধান বিচারপতি বলেছেন, পার্লামেন্ট দ্বারা এই আইনগুলি পাস করার বিষয়টি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে ভারত পরিবর্তন এবং অগ্রগতি করছে এবং তাঁর মতে, নতুন আইনগুলি তখনই সফল হবে যখন সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য গ্রহণ করা হবে। জানিয়ে রাখি যে, ওই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল থেকে শুরু করে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি এবং সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নীল, সাদা থেকে গেরুয়া! ভোটের আবহে বদলে গেল প্রসার ভারতীর রং! দেশজুড়ে নয়া বিতর্ক
উল্লেখ্য যে, দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে, নতুন প্রণীত আইন “ইন্ডিয়ান জুডিশিয়াল কোড”, “ইন্ডিয়ান সিভিল ডিফেন্স কোড” এবং “ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট” ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। তবে, “হিট-এন্ড-রান” মামলা সংক্রান্ত বিধান অবিলম্বে কার্যকর করা হবে না। জানিয়ে রাখি, এই ৩ টি আইনই গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সংসদের অনুমোদন পেয়েছিল এবং ২৫ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এগুলির ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছিলেন।