বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) মধ্যে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। কমিশন চারজন অফিসার ও এক ডেটা এন্ট্রি কর্মীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন নবান্ন এই নির্দেশ মানবে না। কমিশনও অনমনীয় অবস্থানে, ফলে দুই পক্ষের সংঘাত আরও বাড়ছে।
ফর্ম-৬ আবেদনের নিষ্পত্তির সময় নিয়ম, কড়া পদক্ষেপ কমিশনের (Election Commission)
শুক্রবার মুখ্য সচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) পুনরায় জানিয়েছে, চারজন অফিসার ও এক ডেটা এন্ট্রি কর্মীকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে। পাশাপাশি সোমবার বিকেল ৩টার মধ্যে রিপোর্টও চেয়েছে। কমিশনের দাবি, এই চারজনই ভোটার তালিকার ফর্ম-৬ আবেদনের নিষ্পত্তির সময় নিয়ম ভেঙেছেন। তাঁদের আগেও সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা অনিয়ম চালিয়ে গিয়েছেন।
কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চারজন আসলে ‘নমুনা’ আরও অন্তত ২৫ জন ইআরও ও সহকারী ইআরওকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই ডব্লিউবিসিএস এক্সিকিউটিভ অফিসার। কিন্তু কমিশন আপাতত চারজনের ব্যাপারে সরকারের প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য এই সুপারিশ করেছে।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন (Election Commission) যখন কোনও অফিসারকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করে, তখন রাজ্য সরকারকে তা অবিলম্বে মানতে হয়, কারণ নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তাঁরা কমিশনের অধীনস্থ হিসেবে ধরা হয়। প্রয়োজনে কমিশন নিজেও ব্যবস্থা নিতে পারে বা FIR করতে পারে।
পদক্ষেপের আওতায় আনা চার অফিসার হলেন—
- দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী (ইআরও, বারুইপুর পূর্ব)
- তথাগত মন্ডল (সহকারী ইআরও, বারুইপুর পূর্ব)
- বিপ্লব সরকার (ইআরও, ময়না)
- সুদীপ্ত দাস (সহকারী ইআরও, ময়না)
এছাড়া ক্যাজুয়াল ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিত হালদারের বিরুদ্ধেও FIR-এর সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ বাধা দিলে ৭২ ঘন্টা বন্ধ হয়ে যাবে রাজ্য, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এখন নজর সোমবারের দিকে। নবান্ন কি কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ মেনে এই অফিসারদের সাসপেন্ড করবে, নাকি দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে? কমিশনের কড়া অবস্থান ও মুখ্যমন্ত্রীর অনমনীয় মনোভাব ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সংঘাতের রেখা আরও গভীর হতে পারে।