আচার্য পদ তো কেড়েছেই, এবার আরেকটি দায়িত্ব থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য উদ্যোগী হল নবান্ন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের একবার প্রকাশ্যে এল রাজ্যপাল (Governor), রাজ্যের (West Bengal) সংঘাত। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বিবাদ চলে আসছে রাজ্য সরকারের। তবে কয়েক মাসে সংঘাতের পরিবেশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বসার বিষয়ে বিল পাশ করে রাজ্য। আর এবার ট্যাক্সেশন ট্রাইবুনালের দায়িত্ব থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্য সরকার, আপাতত এই খবরটি সামনে উঠে এসেছে।

সূত্রের খবর, আগামীকাল বিধানসভায় পেশ হতে পারে ‘পশ্চিমবঙ্গ ট্যাক্সেশন ট্রাইব্যুনাল সংশোধনী বিল (2022)’। উল্লেখ্য, এই আইনের অধীনে শীর্ষপদের চেয়ারম্যান এবং জুডিশিয়াল সদস্য নিয়োগ করার দায়িত্ব থাকত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের উপর। তবে বর্তমানে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানোই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের। এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, উল্লেখিত দায়িত্বটি সামলাতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং রাজ্য সরকার।

জানা গিয়েছে, আগামীকাল এই সংশোধনী বিল আনতে পারেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলে রাখা ভাল, বিগত বেশ কয়েকটি ভোটাভুটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। ফলে আগামীকাল বিধানসভায় উপস্থিত থাকার জন্য সকল বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলায় ট্যাক্স সংক্রান্ত জমা হওয়া সকল অভিযোগ এবং এর সমাধান করার দায়িত্ব থাকে প্রধানত ট্যাক্সেশন ট্রাইবুনালের ওপর। এতদিন পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলে এসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ করা কিভাবে সম্ভব হবে, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে।

jagdeep dhankar 2

তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এই প্রসঙ্গটি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে রয়েছে রাজ্যপালের স্বাক্ষরের উপর। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আচার্য পদে নিয়ে আসার বিলটি পাশ হয়ে গেলেও এখনো বলবৎ করা যায়নি রাজ্যপালের কারণে। এক্ষেত্রে রাজ্যপালের স্বাক্ষর না হলে সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা সম্ভব নয়। ঠিক একইভাবে, আগামীকাল যদি সংশোধনী বিলটি পাশ হয়েও যায়, তবুও একমাত্র রাজ্যপাল দ্বারা বিলটিতে স্বাক্ষর করার পরেই তা কার্যকর করা সম্ভব হবে। ফলে আচার্য পদ এবং ট্যাক্সেশন ট্রাইবুনাল সংশোধনী বিল প্রসঙ্গটিকে নিয়ে ভবিষ্যতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যে আরও বৃহত্তর রূপ ধারণ করবে, তা বলাবাহুল্য।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর