বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলে রক্তাক্ত পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। সমস্যার সূত্রপাত একটি রাস্তা নিয়ে ঝামেলা থেকে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নওদার বিধায়ক সাহিনা মুমতাজের এক অনুগামীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা মুর্শিদাবাদে। বিরোধীদের অভিযোগ, গোষ্ঠীকোন্দলের বলি ওই যুবক।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বারবার অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এবার নওদা এলাকায় মারাত্মক আকার নিল রাস্তা নিয়ে অশান্তি। রক্তাক্ত হল এলাকা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাস্তা নিয়ে দুই দলের অশান্তি হঠাৎই চরমে পৌঁছায়।
ইট, বাঁশ, রড নিয়ে একদল আরেকদলকে আক্রমণ করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আহত হন অনেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। আহতদের উদ্ধার করে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন মনিরুল মুন্সি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মনিরুলের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিরোধীদের অভিযোগ, ঘটনার পিছনে বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির অন্তর্কলহ। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। তবে রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিলই। পুলিস খতিয়ে দেখবে ঠিক কী হয়েছিল।’ একই সুরে গলা মেলান ব্লক সভাপতি। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিনের অশান্তি। তবে এতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কিছু নেই। যা হয়েছে তা অন্যায়।’
এদিকে ডুয়ার্সের মাল মহকুমায় প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। গতকাল বিকেলে মাল মহকুমার ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুমলাই চা বাগানে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসির পক্ষ থেকে বৈঠক করা হয়। এও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইএনটিইউসির সভাপতি রাজেশ লাকড়া।
জানা যাচ্ছে, কুমলাই চা বাগানের বাসিন্দা মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা বেরা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকি সদস্যদেরও সেখানে ডাকা হয়নি। এমনকি তাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে চাইলেও তাঁদের পুলিস দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় অশান্তি। যার জেরে বিপাকে উত্তরবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস।