বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্শ্বশিক্ষকদের নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে ধর্মতলায় তৈরি হল তীব্র উত্তেজনা। শূন্যপদে নিয়োগ, বেতন বৃদ্ধি এবং স্থায়ীকরণের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পার্শ্বশিক্ষকদের মিছিলের ডাক দিয়েছিল মোট ১১টি সংগঠন। তাঁদের কর্মসূচি ছিল শিয়ালদহ থেকে নবান্ন পর্যন্ত পদযাত্রা।
নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিশি বাধার অভিযোগ
কিন্তু মিছিল ধর্মতলায় পৌঁছনোর আগেই (Nabanna Abhijan) পুলিশি বাধার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে মিছিল আটকায়। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে, শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
পার্শ্বশিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের মিছিল ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু পুলিশ অকারণে লাঠিচার্জ করে এবং বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীর ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে। পুলিশের তরফে অবশ্য দাবি, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই তাঁরা বাধ্য হয়েছিলেন ‘অ্যাকশন’ নিতে।
ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও কিছুক্ষণের জন্য ধর্মতলা চৌরঙ্গি চত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
এই সংঘর্ষের জেরে দুপুরের ব্যস্ত সময়ে ধর্মতলা এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন। পার্শ্বশিক্ষকদের তরফে জানানো হয়েছে, দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন (Nabanna Abhijan) চলবে। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া রাস্তায় নামলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ সুপারভাইজার নিয়োগে আদালতের রায়কে উপেক্ষা, ক্ষোভে পথে নামলেন হাজার হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী
এদিন আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা নবান্ন যাচ্ছিলাম (Nabanna Abhijan) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি পৌঁছে দিতে। কিন্তু আমাদের পথ আটকে দিল পুলিশ। আমরা শিক্ষক, দুষ্কৃতী নই।” প্রসঙ্গত, আগামী দিনে এই আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।