বাংলাহান্ট ডেস্ক : চুরি করেনি, বারবার বলেছিল সে। কিন্তু সে কথা কানেও তোলেনি কেউ। বরং ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় চলেছে মারধোর, হেনস্থা। সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) অপমানে শেষে চরম সিদ্ধান্ত নেয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় এলাকায় স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
চুরির মিথ্যে অপবাদে মার সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer)
আত্মঘাতী ছাত্রের নাম কৃষ্ণেন্দু দাস। ঘটনার সূত্রপাত রবিবারে। জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় বাজারের বাসিন্দা ওই ছাত্র চিপস কিনতে বেরিয়েছিল বাজারে। ছাত্রের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, যে দোকানে সে গিয়েছিল, সেখানে চিপস ছিল না। দোকানদারকে (Civic Volunteer) বারবার ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি কৃষ্ণেন্দু। তখন দোকানের বাইরেই রাস্তায় একটি চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে তা কুড়িয়ে নেয় সে।
বিনা অপরাধে করা হয় হেনস্থা: এদিকে বাড়ি ফেরার সময়ই ওই দোকানের মালিক শুভঙ্কর দীক্ষিত তাকে মোটরবাইক নিয়ে ধাওয়া করে বলে অভিযোগ। কৃষ্ণেন্দুকে ধরে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে বাজার এলাকায় কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ ওঠে। এমনকি ওই ছাত্রকে মারধোরেরও অভিযোগ উঠেছে। কৃষ্ণেন্দুর পরিবারের তরফে (Civic Volunteer) দাবি করা হয়েছে, ওই চিপসের দাম সে তখন মিটিয়ে দিলেও মারধোর থামেনি।
আরো পড়ুন : দিতে হবে ২৫ কোটি টাকা, নয়তো… বন্ধুত্ব ভুলে পরেশ রাওয়ালকে ‘আল্টিমেটাম’ দিলেন অক্ষয়! কিন্তু কেন?
অপমানে আত্মঘাতী ছাত্র: এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান ছাত্রের বাবা মা। তাকে শাসন করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরেই একটি ঘরে ঢুকে পড়ে ওই ছাত্র। বেশ কিছুক্ষণ পরে তার বাবা মা ওই ঘরে ঢুকে ছেলেকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে, যেখানে লেখা, ‘মা আমি বলে যাচ্ছি যে আমি কুড়কুড়েটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম, চুরি করিনি’।
তৎক্ষণাৎ নাবালককে নিয়ে তমলুক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জান যায়, বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে নিয়েছিল ওই ছাত্র। শেষরক্ষা তবুও করা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। একই সঙ্গে দোকানদারের উপরেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে, ওই দোকানদার নাকি পেশায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ঘটনায় এখনো তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও স্থানীয়রা তাঁর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।