বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিনের সভার শুরু থেকেই বিজেপিকে (BJP) নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। পদত্যাগী পুলিশ কর্তা দেবাশিস ধরকে (Debasish Dhar) টিকিট দেওয়া নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে একহাত নেন তিনি। নাম না নিয়েই শীতলকুচির গুলিকাণ্ড নিয়ে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থীকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ মাথাভাঙার সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘ভোটের সময় শীতলকুচিতে লাইনে দাঁড়ানো ৫ জনকে গুলি করে মেরেছিল। ভোট চলাকালীনই ছুটে আসি। যে মানুষটির নির্দেশ এমনটা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দু’টি ডিপি চলছে। ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিয়েছে। আইনকানুন মানার ব্যাপার নেই। সেই মানুষটি আবার বীরভূমের প্রার্থী হয়েছেন। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে এত মানুষের প্রাণ নিয়েও হাতের রক্ত মোছেনি’।
মমতা বলেন, রাজনৈতিক দলের দালালি করে সাধারণ মানুষের প্রাণ নেওয়ার অধিকার কারোর নেই। এই ধরণের ঘটনায় অভিযুক্ত একজন মানুষকে টিকিট দেওয়ার জন্য পদ্ম-শিবিরকে তুলোধনা করেন তিনি। বিজেপির এক দেশ, এক রাজনৈতিক দল নীতিতে বিশ্বাসী। কোনও বিরোধী দলকে তাঁরা টিকতে দেবে না বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ভাষণের মাঝেই ‘***’ বলে ফেললেন মমতা! মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানালেন রাগের চোটে বলে ফেলেছি!
আজ নাম না নিয়ে দেবাশিস ধরকে আক্রমণের পাশাপাশি সিএএ নিয়েও সুর চড়াতে দেখা যায় মমতাকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিএএ হল মাছের মাথা, আর ল্যাজা হল এনআরসি। কোনও সিএএ-এনআরসি হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আজ কোচবিহারের বুকে শুধুমাত্র মমতারই নয়, প্রধানপমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সভা করার কথা আছে। এই নিয়েও সুর চড়াতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বলেন, কেউটে সাপকে সাপুড়েরা পোষ মানাতে পারলেও, বিজেপি এমন একটি দল যাকে কখনও বিশ্বাস করা যায় না।