বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশজুড়ে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। যেভাবে বিজেপি ছক্কা হাঁকিয়ে রাজ্যসভা ও লোকসভায় বিল পাশ করিয়েছে তাতে আর আইন প্রনয়ন মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এমনিতেই এনআরসি নিয়েই হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের তরফে তারওপরে আবার নাগরিকত্ব বিল যেন মরার ওপরে খাঁড়ার ঘা। তাইতো প্রথম থেকে কেন্দ্রের নাগরিকত্ব বিলের বিপক্ষে আসা তৃণমূল এবার ক্ষুব্ধ। তাই জরুরী বৈঠকের ডাক দিলেন মমতা।
লোকসভা ও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার পর এবার নবান্নে ২০ ডিসেম্বর তারিখে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই জরুরী বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দলের সমস্ত সাংসদ ও বিধায়কদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই জরুরী বৈঠক থেকে আবারও নতুন কোনও বার্তা আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সোমবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হচ্ছে অসম ও ত্রিপুরা।
একাধিক জায়গায় জারি করা হয়েছে কার্ফু। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাই অসমে বিজেপি নেতাদের টার্গেট করেছে সাধারণ মানুষ। এরপর বুধবার রাজ্যসভাতেও পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তা নিয়ে তো দফায় দফায় উত্তপ্ত হচ্ছে অসম। একের পর এক হিংসার খবর ছড়াচ্ছে। বুধবার নাগরিকত্ব বিল রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। পাশাপাশি বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল।
যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইটে আশার বানী শুনিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শান্ত হয়নি। আর এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের নিশানায় রয়েছে বিজেপি নেতারা। যেহেতু বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে তাই বিক্ষোভকারীরা বিজেপি নেতাদের টার্গেট করেছে বলেই শোনা যাচ্ছে।
অসমের তিনসুকিয়াতে দোকানঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি বাড়িতেও হামলা করা হচ্ছে বলে শোনা গিয়েছে। এককথায় গোটা রাজ্য জুড়ে আশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে। গুয়াহাটিতে জারি হয়েছে কার্ফু। অসমে নিরাপত্তা বাহিনী জোরদার করা হয়েছে।