বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার সমস্ত দপ্তরের মন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে নবান্নে (Nabanna) এক প্রশাসনিক বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেখানেই তৃণমূল সুপ্রিমোর ভর্ৎসনার শিকার রাজ্যের চার মন্ত্রী। সংবাদ মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের সতর্ক হওয়ার নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভর্ৎসনার পর্ব শুরু হয় রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmik) দিয়ে। গঙ্গা ভাঙন নিয়ে মিডিয়ার কাছে মুখ খোলায় মন্ত্রীর ওপর রেগে কম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থবাবুকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গঙ্গা ভাঙন আমরা নিজেরাই হাতে নিয়ে করব। পার্থ ভৌমিকের এমন একটা সেটমেন্ট দেখলাম। এটার ব্যাপারে তো কোনও ক্লিয়ারেন্স আসেনি। মন্ত্রী কেন এমন বক্তব্য করেছেন?”
মমতার কথায়, “এভাবে বললে তো লোকের আশা জাগে। তোমরা তো বিবৃতি দিয়ে খালাস। আমার সিস্টেম হচ্ছে বরাদ্দ হওয়ার পরই প্রকল্পের ঘোষণা করা। খবর করার জন্য বাড়তি কথা বলা উচিত নয়।’’ মুখ্যমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ, “রোজ গঙ্গা ভাঙন আটকানো যাবে না। ভাঙন হতেই থাকবে। নদী, প্রকৃতি, বন, জঙ্গল ,আকাশ, মাটি এগুলি আমাদের হাতে নেই। গঙ্গার একটা দিক ভাঙছে, তো অন্য দিক গড়ছে। আমি শুনছিলাম সামশেরগঞ্জে গঙ্গার পারে যাঁদের বাড়ি, আজ না হোক, আগামী পাঁচ বছরে ভেসে যেতে পারে।”
এরপর পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) সতর্ক করে দেন মমতা। একটি প্রকল্পের সূত্র ধরে বাবুলকে তিনি বলেন, “মুকুটমনিপুরের কটেজে কতগুলি সাপ বেরিয়েছে জানো? পনেরাটা সাপ বেরিয়েছে। কী করে হয়? ওখানে একটা ওপেন এয়ার থিয়েটার করার কথা ছিল না? সেটার কী খবর? ওখানে তো একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হওয়ার কথা।’’
এরপরই পর্যটনমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘কেবল গান করলে হবে না। পর্যটনটাও ভাল করে দেখ।’’ মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে কথা বলে কাজ করার পরামর্শও দেন। গতকালের বৈঠকে পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়কে মমতা বলেন, “ম্যাকিনটস বার্ন ভালো করে কাজ করছে না। এবার থেকে তোমাকে এই সংস্থার কাজের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে।”
অন্যদিকে বাদ পড়েননি পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও। এদিন তারাপীঠের প্রস্তাবিত বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ কতদূর সেই প্রশ্ন করেন মমতা। জবাবে স্নেহাশিস সঠিকভাবে কিছু না বলতে পেরে বিরক্ত হয়ে মন্ত্রীকে বলেন, ‘‘এক কোটি টাকা তো লাগবে। দ্রুত কাজ করুন।’’