‘আমি যাব…’, আনন্দে আত্মহারা মমতা! বিধানসভায় এসে কারা আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রীকে?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুদূর স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) থেকে আমন্ত্রণ (Invitation) এল মমতার (CM Mamata Banerjee) কাছে। আজ সোমবার পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির পরিচালন কমিটি থেকে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হল। এদিন বিধানসভায় এসে তৃণমূল সুপ্রিমোকে স্বর্ণমন্দিরে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দল।

অন্যদিকে বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়ে আনন্দিত মুখ্যমন্ত্রী। এই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে শীঘ্রই স্বর্ণমন্দিরে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই নিমন্ত্রণ পাওয়া তার কাছে অত্যন্ত গর্বের বলেও জানান নেত্রী। আজ বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেয় স্বর্ণমন্দিরের পরিচালন কমিটি।

এদিন বিধানসভার অধিবেশনে স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে আসেন জ্ঞানী রখবীর সিং, আকাল তখৎ এবং দরবার সাহিব। কলকাতায় পা রেখেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে স্বর্ণমন্দিরে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা।

মন্দির তরফে আমন্ত্রণ পাওয়ার সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রীও তাদের জানান, ‘‌আমি শীঘ্রই পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে যাব। আজ যে আমন্ত্রণ আপনাদের থেকে পেলাম তা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের। আমি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকব।’‌ শিখ সম্প্রদায়ের সকলকে শুভকামনাও জানিয়েছেন মমতা।

mamata golden temple

এদিন স্বর্ণমন্দিরের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। মমতা বলেন, “বাংলার সঙ্গে পঞ্জাবের সম্পর্ক বহু পুরনো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা হোক, বা স্বাধীনতা সংগ্রামে সম্মিলিত অংশগ্রহণ—বাঙালি এবং পঞ্জাবিদের মধ্যে সৌহার্দ্য বরাবরই বজায় ছিল। এই সম্পর্ক কখনও ভোলার নয়। এই দেশে আমরা সবাই মিলেমিশেই বছরের পর বছর থাকছি ও কাটাচ্ছি। তাই স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষের এই নিমন্ত্রণ পাওয়া আমার কাছে একটা গর্বের মুহূর্ত। সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শীঘ্রই পঞ্জাব যাব।’‌

ad

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর