বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আচমকা ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের একাংশ। বিপর্যয়ের খবর শোনা মাত্রই জলপাইগুড়ি ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পরের দিন সকালের অপেক্ষা নয়, ঘটনার দিন রাতেই সেখানে উপস্থিত হন তিনি। এখনও তিনি উত্তরবঙ্গেই আছেন। বুধবার চালসার চা বাগানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
আজ চালসার চা বাগানে গিয়ে চা শ্রমিকদের (Tea Garden Workers) সমস্যার কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগের কথাও শুনতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর নিরাপত্তার আগল সরিয়ে অবলীলায় মিশে যান সাধারণ মানুষের সঙ্গে। আজ যেমন চালসার চা বাগানে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েন মমতা। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে চা-ও (Tea) বানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) দোকানে দেখে স্বাভাবিকভাবেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন দোকানের কর্মী। তাঁকে চেয়ার দেওয়ার জন্য রীতিমতো ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। তবে মমতা সবাইকে থামিয়ে সোজা রান্নার জায়গায় চলে যান। সেখানে নিজের হাতে চা বানানোর পাশাপাশি একদিনে কেমন রোজগার হয় সেই বিষয়ে জানতে চান তিনি।
আরও পড়ুনঃ যোগ্যদের নিয়োগ আটকে রাখা যাবে না! কোন জেলায় কত পদ খালি? জানতে চাইল হাই কোর্ট
এদিনে মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের নাগালে পেয়ে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। পানীয় জল এবং রাস্তার সমস্যার কথা শোনা যায় তাঁদের মুখে। সবকিছু শোনার পর মমতা জিজ্ঞেস করেন, এখানে পঞ্চায়েতের কোনও আধিকারিক আছেন কিনা। এরপর সেই আধিকারিককে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন চা বাগান পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও সুর চড়াতে দেখা যায় মমতাকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যাঁদের ঘর ভেঙেছে তাঁদের নাম তালিকায় ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার সবসময় সচেষ্ট। তবে এই উন্নয়নে কোনও কৃতিত্ব নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। একইসঙ্গে ভোটের আগে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতেও দেখা যায় মমতাকে। কোনও প্রকার প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আর্জি জানান তিনি।