বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরও একবার ঢাকের বাদ্যি, দিকবিদিক জুড়ে কাশফুলে সেজে উঠছে প্রকৃতি, আর সেই প্রকৃতিই জানান দিচ্ছে, ‘মা আসছেন’। প্রকৃতির চেনা এই ছবি প্রতি বছরই বাঙালির কাছে যেন নতুন লাগে। ইতিমধ্যেই পুজো কমিটিগুলি (Puja Committee) তাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তার আগেই একবার পুজো কমিটির কর্ণধারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay)।
সূত্রের খবর, আগামী ২২ অগস্ট নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠকের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এইদিনই ঠিক হবে পূজা কমিটিদের ঠিক কত টাকা অনুদান দেওয়া হবে। আগের বছর যেমন পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ দশ হাজার টাকা বাড়িয়ে ছিল রাজ্য সরকার। ৫০ হাজার থেকে বেড়ে ৬০ হাজার করা হয়েছিল টাকার অঙ্ক।
এমতাবস্থায় এই বছর কি টাকার অঙ্ক আরও বাড়ানো হবে? মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠককে কেন্দ্র সেই জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে আধিকারিকদের মনে। কারণ সদ্যই সামনে এসেছে বাংলার কোষাগারের খতিয়ান। যেখানে বলা হচ্ছে, বাংলার কোষাগার এখন তলানিতে।
আরও পড়ুন : ভোগান্তি! এই মাসে দু’দিন বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা! বিপদে পড়ার আগে দেখুন তারিখ
পাশাপাশি কেন্দ্র থেকেও বেশ কিছু প্রকল্পের অনুদান বন্ধ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় নতুন করে রাজ্য কোষাগারে চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকার নেবে কিনা সেটাই দেখার। উল্লেখ্য, গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটি রয়েছে। এইদিন সকল কমিটিকেই বৈঠকে যোগদান দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন : স্টেশনে-স্টেশনে মিলবে সস্তার ওষুধ! যাত্রী সুবিধার্থে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ভারতীয় রেলের
এইদিন বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস বিভাগ, বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও ঐদিন উপস্থিত থাকবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তথ্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
আরও পড়ুন : তুষ্ট করতে হবে মহাদেবকে, গাছ কাটার মেশিন দিয়ে নিজের গলা কেটে উৎসর্গ ভক্তের!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুজোর আর মাত্র দুই মাস বাকি। কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে বড় পুজো কমিটি ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কাঠামো পুজোর পর শুরু হয়ে গিয়েছে করে মণ্ডপ তৈরির কাজ। ব্যস্ততা বেড়েছে কুমোরপাড়াগুলিতে। এসবের মাঝেই পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলতে চান মুখ্যমন্ত্রী।