বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) দ্বারদ্ঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার থেকে সৈকত শহরে রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার মহাযজ্ঞে পূর্ণাহুতি দিয়েছিলেন। এদিন সকালে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে শুভক্ষণে মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে সংক্ষিপ্ত বার্তাও দেন মমতা।
জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের আগে সম্প্রীতির বার্তা মমতার (Mamata Banerjee)!
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষ এসেছে। স্থানীয়দের সহায়তা পেয়েছি। তারকা, শিল্পপতি প্রত্যেককে ধন্যবাদ। সনাতন ব্রাহ্মণ ধর্ম, আদ্যাপীঠের মহারাজ, বেলুড় মঠ, জয়রামবাটি, কালীঘাট, কামারপুকুর, স্বামীজির বাড়ি, ইসকন, পুরীর দ্বৈতপতি প্রত্যেকে এসেছেন। সব ধর্মের, বর্ণের মানুষ এসেছেন’।
এদিন হিডকোর (HIDCO) প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান মমতা। সেই সঙ্গেই যারা বিগত ৩ বছর ধরে মন্দিরের কাজ করেছেন, তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। একইসঙ্গে জানান, রাজ্যের সবার বাড়ি পৌঁছে যাবে জগন্নাথদেবের প্রসাদ ও ছবি।
আরও পড়ুনঃ ‘২৮ কোটির বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্দির নাম দিয়েছেন’! দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই ভোগ পাবেন। প্যারা, গজা, খাজার দোকান হচ্ছে। মন্দিরের প্রসাদ, ছবি গোটা বাংলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। সারা দেশে যারা ভালোবাসেন, প্রত্যেকের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। রোজ ইসকন ভোগের বন্দোবস্ত করবে’।
এদিন গোটা বিশ্বে শান্তি কামনা করে জগন্নাথ মন্দিরে (Digha Jagannath Temple) প্রবেশ করেন মমতা। সেই সঙ্গেই সকলকে এখানে আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘মন্দির চত্বরকে কেন্দ্র করে ৫০০-র অধিক গাছ বসানো হয়েছে। তীর্থস্থান হিসেবে হাজার হাজার বছর ধরে পর্যটক তরঙ্গে উন্মাদনার প্লাবন তৈরি করবে এই মন্দির। সবাই আসুন। সকলকে করি আহ্বান’।
জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ঘিরে দিঘায় কার্যত চাঁদের হাট বসেছে। দেব, জুন মালিয়া, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, ভিভান ঘোষ, দেবলীনা কুমার সহ একাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ আগেই সৈকত শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এদিন সকলের উপস্থিতিতে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করলেন মমতা (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গেই জানালেন, রাজ্যের সবার বাড়ি জগন্নাথদেবের ছবি ও প্রসাদ পৌঁছে যাবে।