বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহীদ দিবস (TMC Shahid Diwas)। এবছর ৩০ বছরে পদার্পণ করেছে ২১ জুলাই শহিদ তৰ্পন অনুষ্ঠান। পঞ্চায়েত ভোট আর বিরোধী জোটের পর সকলেরই নজর ছিল আজকের এই সমাবেশের দিকে। আর সেই সভা থেকেই নতুন ভাবে ১০০ দিনের প্রকল্পের ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘খেলা হবে’ প্রকল্প।
কি এই প্রকল্প? কেনই বা এহেন নাম? জানুন বিস্তারিত। এই ‘খেলা হবে’ স্কিম আসলে পশ্চিমবঙ্গের অতি পরিচিত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় চলা ১০০ দিনের কাজের বিকল্প স্কিম। এদিন মঞ্চে উঠেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের মতোই বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ শানান নেত্রী। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে ইডি, সিবিআই এর সক্রিয়তা ছাড়াও একাধিক ইস্যুতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা।
পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই কেন্দ্র সরকার বিগত তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা বন্ধ করে রেখেছে। তবু আমরা রাজ্যের পরিসরে জব কার্ড হোল্ডারদের দিয়ে ২৬ দিনের কাজ করিয়েছি। আগামী দিনেও করাব, আমরা আর কেন্দ্রের ভরসায় বসে থাকব না। বাংলায় একটা নতুন প্রকল্প নেব। সেটা হবে এই বাংলার ১০০ দিনের কাজ। নাম দেব খেলা হবে। জব কার্ড হোল্ডাররাই এই কাজ পাবে।’
মমতা আরও বলেন, “আমরা বিজেপিকে বুঝে নেব। ১০০ দিনের কাজ করার সময় মানুষ বুঝে নেবে, চব্বিশে কাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই খেলা হবে নামের পেছনে বড় এক কারণ রয়েছে। দিল্লির বঞ্চনার প্রতিবাদে পাল্টা খেলা হবে নাম দিয়ে কেন্দ্রকে জব্দ করতে চাইছে শাসকদল।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রচারের লাইমলাইটে ছিল এই খেলা হবে স্লোগান। বলতে হয় শাসকদলের সবচেয়ে বড় স্লোগান ছিল, ‘খেলা হবে’। এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে বিপুল জয় পেয়েছিল তৃণমূল। তাই এবার লোকসভা ভোটের আগেও ‘খেলা হবে’ দিয়েই পালা বদলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল।