বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না। বছরের পর বছর ধরে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি তুলে আসছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। গত ৮ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি সমাপ্ত হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তারপর বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তবে এখনও রায়দান হয়নি। সবমিলিয়ে সরকারি কর্মীদের অপেক্ষা বাড়ছে দিন দিন। আর এরই মধ্যে উত্তাপ বাড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) করা এক মন্তব্য।
ডিএ ইস্যুতে অনড় মমতা | Dearness Allowance
বৃহস্পতিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বিজনেস কনক্লেভের মঞ্চ থেকে ডিএ ইস্যুতে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ডিএ দেওয়া ম্যান্ডেটারি নয়। তবুও আমরা প্রতি বছর ১৮ শতাংশ হারে ডিএ দিই।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ ডিএ ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দয়ার উপর মহার্ঘ ভাতা নির্ভর করে না। সারা দেশ জুড়ে একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনেই ডিএ দেওয়ার নিয়ম।
তিনি বলেন, একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন, তা দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হয় না। তার কথায়, ডিএ যদি বাধ্যতামূলক না-ই হয়, তা হলে ১৮ % করে দেওয়া হচ্ছে কেন? এক সময় তো শূন্য করে দেওয়া হয়েছিল। এখন আবার দেওয়া কেন হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ভাস্করবাবুর কথায়, ৪০ শতাংশ বকেয়া ডিএ আমরা আদায় করবই। উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসও অর্ধেক পেরিয়ে শেষের পথে। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, এখনও সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল বেঞ্চের কোনো কজলিস্ট বা কার্যতালিকা প্রকাশিত হয়নি। আজ ১৯শে ডিসেম্বর ডিএ মামলার রায় ঘোষণা হবে কি না, তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।

আরও পড়ুন: হঠাৎ ছন্দপতন! দক্ষিণবঙ্গে হাড়হিম করা শীত কবে থেকে? আজকের আবহাওয়ার খবর
উল্লেখ্য, যদি আজ এই মামলার রায় না প্রকাশিত না হয়, তবে এই বছর রায় বেরোনোর সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে। ২২শে ডিসেম্বর থেকে ২রা জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের শীতকালীন ছুটি চলবে। এরপর শনি ও রবিবার কাটিয়ে ৫ই জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট পুনরায় খুলবে।












