বাংলাহান্ট ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারে কর্মীসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী৷ আর তার সুশ্রুষা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখবে বলে আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের সভায় মায়ের সঙ্গে এসেছিল মুস্কান পারভিন৷ কিন্তু, প্রচণ্ড গরমে রোদের মধ্যে জ্ঞান হারায় সে৷ এর পর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরাই তাঁকে মঞ্চের এক পাশে নিয়ে আসে৷
ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়তেই তড়িঘড়ি সভা শেষ করে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “কী হয়েছে? অজ্ঞান হয়েছে? জল দাও। আমার কাছে জল আছে। আগে মুখে-চোখে জল দাও। ডাক্তার কে আছে, ডেকে নাও।” তারপরই তড়িঘড়ি সভা শেষ করে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, মিটিং-মিছিল পরেও অনেক হবে। ভাষণ শেষে নিজেই মুসকানের শুশ্রূষার কাজে হাত লাগান। জল খাওয়ান। জিজ্ঞেস করেন, ‘কেমন লাগছে এখন?’ যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠে মুসকান।
সামনে থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে খুশি মুসকানও। বলে, “মায়ের সঙ্গে সভায় এসেছিলাম। গরমে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম। দিদি এসে আমাকে জল খাইয়ে দেন। আমার খুবই ভালো লাগছে। এরপর আমাকে মঞ্চে বসে থাকতে বলেন। তাঁর সঙ্গে এভাবে দেখা হবে ভাবতে পারিনি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মানবিক রূপ বাংলার মানুষের কাছে নতুন নয়। এর আগেও একাধিক সময় তিনি এমনভাবেই এগিয়ে এসেছেন। কখনও গাড়ি থামিয়ে শুনেছেন বাচ্চাদের অনুরোধ, আবার কখনও কোনও গ্রামের বাড়ির রান্না ঘরে ঢুকে গিয়ে খুন্তি ধরেছেন। তবে এইদিন তাঁর সভায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়া মুশকানকে নিজের হাতেই শুশ্রূষা করেন।