বাংলাহান্ট ডেস্ক : হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কের জেরে আন্তর্জাতিক রাজনীতির টলমল অবস্থা। এবার এই বিতর্কে এবার মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি ট্যুইট করেন এই বিষয়ে। ট্যুইটে তিনি বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা এবং নেতা নবীন জিন্দালকে গ্রেফতার করার দাবি তোলেন। একাধিক ট্যুইটে তিনি লেখেন, বিজেপির যেসব নেতানেত্রী বিভিন্ন ধরনের ঘৃণার ও উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়ে চলেছেন এবং বিতর্কিত মন্তব্য করছেন, তাতে দেশে মারাত্মক হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এতে দেশের ধর্মীয় বিভাজনেরও পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
আমি বিজেপির কিছু সর্বনাশা, দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতা-নেত্রীর সাম্প্রতিক জঘন্য, প্ররোচনামূলক, বিভেদমূলক ও ঘৃণাসর্বস্ব মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। এমন মন্তব্য ও আচরণের ফলে শুধু হিংসাই ছড়ায় না, দেশের মন বিভক্ত হয়, দেশের শান্তি ও সংহতিও নষ্ট হয়। (১/৩)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 9, 2022
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, অবিলম্বে ওই সমস্ত নেতানেত্রীদের গ্রেফতার করা উচিত। ভারতের ঐক্য, সংহতি এবং সম্প্রতি আর বিনষ্ট হতে দেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই সমস্ত কার্যকলাপে মানুষ মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব মানুষ যেন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলার চেষ্টা করেন। সাধারন মানুষকে তিনি অনুরোধ করেন কোনও প্ররোচনায় পা না দিতে।
প্রায় দশ দিন আগে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মুসলিম পয়গম্বর সম্পর্কে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তাঁর মন্তব্যকে পরে ট্যুইটে সমর্থন জানান দিল্লি বিজেপির প্রধান নবীন জিন্দাল। এরপরই পশ্চিম এশিয়ার বহু ইসলামিক রাষ্ট্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে। কাতারের মতো একাধিক দেশ ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের ডেকে কার্যত ভর্ৎসনা করে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আবার ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেন।
পরিস্থিতি যাতে আর জটিল না হয়, সে দিকে চূড়ান্ত সতর্ক বিজেপি। দলের যে সকল নেতাদের বিরুদ্ধে এর আগে কুকথা বা ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদেরও সতর্ক করেছে দল। পয়গম্বর- মন্তব্যের জেরে নূপুর শর্মাকে সাসপেন্ড ও নবীনকে জিন্দালকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। এবার তাঁদেরকে গ্রেফতার করার দাবি তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।