বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এমাসেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পুরোধা শুভেন্দু অধিকারী। একসময় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত্য সৈনিক ছিলেন, আর এখন তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছিল যে নতুন বছরের প্রথম মাসের ৭ তারিখ নন্দীগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু। কিন্তু এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, ৭ তারিখ নন্দীগ্রামে যাবেন না মুখ্যমন্ত্রী। ওনার বদলে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সভা করবেন নন্দীগ্রামে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শক্তি পরীক্ষার জন্য ৭ তারিখ নন্দীগ্রামে সভা করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার কথা ঘোষণা হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী নিজের সভার দিন পরিবর্তন করেন। গত সপ্তাহে মেদিনীপুরের কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আমাকে ঠেকাতে জোড়ায় জোড়ায় মন্ত্রী পাঠানো হচ্ছে। আর মন্ত্রীরা যখন পারছেন না, তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আসছেন। শুভেন্দু তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘৭ তারিখ আপনি পুলিশ দিয়ে মানুষ জড়ো করবেন, আর ৮ তারিখ আমি ভালবাসা দিয়ে মানুষ জড়ো করব।”
শুভেন্দুর হুঙ্কারের পরই নন্দীগ্রামে আচমকাই নিজের সভা বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কারণে পিছিয়ে গেলেন? এই বিষয়ে দলের তরফ থেকে এখনো কোনও বিবৃতি দেওয়া হয় নি। প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী দল ছাড়তেই হয়ত উনি হুজুকে হুজুকে নিজের সভার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন হয়ত ভাবছেন শুভেন্দুকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলছে দল। তাই তিনি পিছুপা হলেন।
আবার অনেকের মতেই নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে বাদ দিয়ে মমতা সভায় তেমন লোক হবে না, সেই কারণেই তিনি নিজের সভা বাতিল করেছেন। আরেকদিকে, দাদার অনুগামীরা বলেছেন, এখন মুখোমুখি না হতে পারলেও আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরের যেখানেই সভা করবেন সেদিনই দাদা তার পাশে সভা করে শক্তি প্রদর্শন করবেন।