বাংলা হান্ট ডেস্ক : বৃহ্স্পতিবার রানী রাসমনি রোডের জনসভা ও প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নজরদারিতে গনভোটের দাবি জানিয়েছিলেন। যেখানে হিন্দু খ্রিষ্টান মুসলিম ও শিখ থাকবেনা, থাকবেনা কোনো রাজ্যনৈতিক দল। শুধুমাধ্য এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কতজন সমর্থণ করে তা দেখার জন্য গণভোটেপ দাবি করেছিলেন। কবে শুক্রবার অর্থাত্ চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই তৃণমূল ভবনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী জনমত সমীক্ষার দাবি তুলেন।
এদিন তিনি বললেন, ”আমি বলেছি ওপিনিয়ন পোল করতে। আমি বলেছি, রাষ্ট্রসংঘ, মানবাধিকার কমিশনের কথা, কারণ ওরা নিরপেক্ষ সংস্থা”। এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রীর গণভোটের দাবি নিয়ে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় কটাক্ষ করেছিলেন। মুকুল রায় বলেছিলেন গণভোট করা হোক কারা মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চায় তা দেখার জন্য।
WB CM on her statement 'Let an impartial org like UN or Human Rights Commission form a committee to see how many people are in favour or against #CitizenshipAmendmentAct': I mentioned only opinion poll. I said Human Rights Commission & UN are impartial institutions. (1/2) pic.twitter.com/KA9c1XrnBN
— ANI (@ANI) December 20, 2019
বৃহস্পতিবার মমতা ব্যানার্জী কলকাতায় নাগরিকতা আইন নিয়ে ফের একহাতে নেন মোদী সরকারকে। উনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৩ বছর পর আচমকা আমাদের নাগরিক হওয়ার প্রমাণ দিতে হচ্ছে। বিজেপির গঠন হয় ১৯৮০ সালে, আর আজ বিজেপি ১৯৭০ সালের নথী চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সবার কাছে নাগরিকতা আইন নিয়ে জোরদার বিরোধিতার আবেদনও করেন। উনি বলেন, এই আইনের বিরোধিতায় সবাই নামলে সরকার এই আইন তুলতে বাধ্য হবে।
অন্যদিকে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী সুর নরম করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ”মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। জেদাজেদি করবেন না। আপনি এই আইন বাতিল করুন, যাতে অশান্তি দূর হয়ে যায়। মানুষের ভিতরে আগুন জ্বলছে। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, কোনও দলের প্রধানমন্ত্রী নয়”।