বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam) এবার উঠে আসছে একেরপর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিগত কয়েকমাস ধরে জোর তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED) । কয়েকদিন আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে বাঁকুড়া থানার আইসি অশোক মিশ্র। এই প্রথম রাজ্যের কোনও পুলিশ আধিকারিক গ্রেপ্তার হলেন। আর তাঁকে গ্রেপ্তারের পরপরই উঠে আসছে আরও নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আদলতে নথি জমা দিয়েছে ইডি।
গতকাল বুধবার, দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলায় বেশ কয়েকটি নথি পেশ করেছে ইডি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের আধিকারিক অশোক মিশ্রের (Ashok Mishra) অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কয়লা পাচারের ১৬৮ কোটি টাকা। এমনকি তা মাত্র ৪ মাসেই মধ্যেই। আর এই অশোক মিশ্রই মোটা টাকা তুলে দিতেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হাতে। অশোক মিশ্র যে টাকা নিতেন তার রশিদও রয়েছে গোয়েন্দাদের হাতে। জানা যাচ্ছে, নিজের নামে সই করেই সেই টাকা নিতেন এই পুলিশ আধিকারিক।
উল্লেখ্য, গত মাসের ১৮ তারিখ কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার এক সহযোগীর গোপন জবানবন্দী নিয়েছিল গোয়েন্দারা। সেখানেই লালার ওই সহযোগী জানিয়েছিল গ্রেপ্তার হওয়া ওই পুলিশ আধিকারিকের কাছে যে টাকা যেত, তার বড় অংশ তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্রের (Binoy Mishra) নির্দেশে পৌঁছে যেত দিল্লিতে। আর দিল্লি থেকেই সেই টাকা সোজাসুজি জমা পড়ত লন্ডন এবং থাইল্যান্ডের অ্যাকাউন্টে।
আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে থাইল্যান্ডের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সাংসদ অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rujira Banerjee) যোগ পাওয়া গিয়েছে ও লন্ডনে অ্যাকাউন্ট রয়েছে অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকার। যার ফলে যত দিন গড়াচ্ছে, ততই কয়লা পাচার কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। আর দিন চারেক আগে গ্রেপ্তার হওয়া ওই পুলিশ আধিকারিককে জেরা করে আরও নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে পারে বলে অনুমান গোয়েন্দা সংস্থার।