বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা। এবার কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) আসানসোল আদালতে সিবিআই (CBI) এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। এদিন কয়লা পাচার মামলায়, আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতে, চূড়ান্ত চার্জ গঠন হওয়ার কথা ছিল। সেখানেই CBI-র উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন কতদিনে তদন্ত শেষ করবেন?
সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে কয়লা পাচার মামলার শুনানি ছিল। চূড়ান্ত চার্জ গঠন হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। তবে ২ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো যায়নি। কেন তারা হাজির হননি? CBI-এর তরফে আইনজীবী জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে, তারা হাজিরা দিতে পারেননি।
শুনেই অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতির সাফ কথা, ‘সবাইকে আদালতে হাজির করুন। শারীরিক কারণে আদালতে হাজির হতে না পারলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হলেও আনতে হবে’। এদিন সিবিআই এই মামলায় চার্জশিট পেশ করার জন্য সময় চান। CBI-কে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশের জন্য একমাস সময় দেয় আদালত।
তদন্তকারীদের সময় দিলেও আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে CBI। CBI-কে উদ্দেশ্য করে বিচারপতির প্রশ্ন, কতদিনে তদন্ত শেষ করবেন? তদন্ত কি শেষ হয়ে গেছে? জবাবে সিবিআই জানায় তারা আরেকটা চার্জশিট দেবে। তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে, বিচারপতি বলেন, দিনের পর দিন এটা চলতে পারে না। তদন্তের নামে তাদের জেলে রেখে দেবেন, এটা তো দীর্ঘদিন চলতে পারে না। সবাইকে আদালতে হাজির করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন জেলের ভেতর যা কাণ্ড ঘটালেন পার্থ-জ্যোতিপ্ৰিয়! থ হয়ে গেলেন কারারক্ষীরা
এদিন গোটা তদন্ত শেষ করার জন্য একমাস সময় দিয়েছে আদালত। আগামী ৩ জুলাই কয়লা পাচার মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিনই চার্জ গঠনের সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। একই দিনে তাকে জামিন দেয় আদালত। তবে এই মামলার অপর অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখনও ফেরার। সিবিআই জানিয়েছে তিনি বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন।