বাংলাহান্ট ডেস্ক: যে ভাইপো, ভগ্নিপতিদের নিয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন তিনবছর দু-মাস আগে, ২০২১-এর নির্বাচনের পরে তাঁরা ফিরে গিয়েছিলেন পুরনো দলে। তাঁরা ইঙ্গিত করেছিলেন অর্জুনও ফিরবেন। তবে অর্জুন সিং নাকি তাতে বিশেষ আগ্রহ দেখাননি। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দেখান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত তাঁর ইচ্ছাতেই অর্জুন সিং-এর তৃণমূলে ফেরা বলে জানা গিয়েছে।
‘মিশন অর্জুন’ শুরু হয়েছিল গত জানুয়ারির গোড়ায়। তখন লোকসভার অধিবেশন চলছে। সে সময় তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতা কথা বলতে শুরু করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের সঙ্গে। অর্জুন সম্প্রতি কলকাতায় তৃণমূলের উত্তরীয় নেওয়ার পরে, এমনটাই দাবি করেছে বঙ্গের শাসকদলের একটি সূত্র। পাশাপাশি, এ কথাও বলা হচ্ছে, গোটা অপারেশনটি হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।
তৃণমূলের যোগ দেওয়ার পরে অর্জুন সিংকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদের কথা। তাঁরা কেন এখনও সাংসদ পদে ইস্তফা দেননি। প্রসঙ্গত তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং কাঁথির শিশির অধিকারীর সরাসরি বিজেপি যোগ না থাকলেও, তাঁরা কার্যত তৃণমূল থেকে বিচ্ছিন্ন। সেক্ষেত্রে অর্জুন তৃণমূলের কথাই বলেছেন। তৃণমূলের দাবি, এই মুহূর্তে যদি ব্যারাকপুর ছাড়াও কাঁথি এবং তমলুকে উপনির্বাচন হয়, সেক্ষেত্রে তাদের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।
এদিকে, অর্জুনের তৃণমূলে ফিরে আসাতে যদি দলের কোনও অংশের আপত্তির কারণ হয়ে থাকে, তবে আগামী ৩০ মে অভিষেক ব্যারাকপুরে গিয়ে সমস্যার সমাধান করবেন। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, অভিষেকের হাত ধরে দলে ফিরে আসার বিষয়টিও মমতার গোচরে ছিল এবং তাঁর আপত্তির কথা শোনা যায়নি। অর্জুন অন্যদিকে তৃণমূলের ‘বিশেষ’ দায়িত্ব পাচ্ছেন নিশ্চিত।