বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের কৌতুকশিল্পী আবু হেনা রনির (Abu Hena Roni) অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। সে দেশের এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন রনি। শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছিল তাঁর। হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ তিনি। বিপদও কেটেছে অনেকাংশে।
প্রায় ২৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন রনি। হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। আবু হেনা রনির শ্বাসনালী, একটা কান, দু হাত এবং মুখের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছিল। তবে এখন তিনি অনেকটাই বিপদ কাটিয়ে উঠেছেন।
গলার স্বর ফিরেছে কৌতুকশিল্পীর। কথাও বলতে পারছেন। খাবার খাচ্ছেন নিজেই। যদিও এখন বেশ কিছুদিন কথা বলায় তাঁকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে রনিকে। তবে পরিবারের সদস্য ছাড়া আর কারোরই তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নেই। অনেকটা সু্স্থ হয়ে উঠলেও হাসপাতাল থেকে রনিকে কবে ছাড়া হবে তা এখনো জানাননি চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগে বাংলাদেশের গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনার শিকার হন আবু হেনা রনি। অনুষ্ঠানে অতিথিদের ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন আনা হয়েছিল। মঞ্চের পাশেই রাখা ছিল সেগুলো। ওই গ্যাস বেলুন ফেটেই দুর্ঘটনা ঘটে। রনি সহ আরো কয়েকজন গুরুতর ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন।
রনির দুর্ঘটনার খবর ছড়াতেই দুই বাংলা থেকেই দ্রুত সুস্থতা, প্রার্থনার বার্তা ভেসে আসে। প্রাক্তন ‘মীরাক্কেল’ বিজয়ীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন মীর এবং শোয়ের প্রাক্তন বিচারক শ্রীলেখা মিত্র। মীর লেখেন, ‘আবু হেনা রনি নিজেই আগুন। ওকে পোড়ায় কার সাধ্য? দোয়া করবেন সবাই।’ শ্রীলেখা লেখেন, ‘আবু হেনা রনি, দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠ বাবু’। রনির সু্স্থ হয়ে ওঠার খবরে খুশি দুই বাংলার অনুরাগীরাই।