বাংলাহান্ট ডেস্ক : যতদিন গেছে ততই আধুনিক হয়েছে প্রযুক্তি। একটা সময় ট্যাক্সি ধরার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হত রাস্তার মোড়ে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তি আসার পর আমরা মোবাইলের সাহায্যে বুক করে ফেলতে পারি ক্যাব। এরপর আরো একধাপ এগিয়ে লঞ্চ হয় বাইক ট্যাক্সি। সহজেই শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য অনেকেই এই বাইক ট্যাক্সির উপর নির্ভর করেন।
তবে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠছিল ব্যক্তিগত লাইসেন্স নিয়ে এই বাইক ব্যবহার করা হচ্ছিল বাণিজ্যিক কাজে। বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি সংস্থা ও অন্যান্য ই-কমার্স সংস্থায় এই ধরনের বাইক ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকার দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করছিল এই ধরনের বাইকের জন্য পৃথক লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করার।
আরোও পড়ুন :
এবার সরকার শুরু করল সেই প্রক্রিয়া। সল্টলেকে পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিস থেকে লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত শনিবার থেকে। পরিবহন দপ্তর জানাচ্ছে কসবাতেও আগামী সপ্তাহ থেকে এই লাইসেন্স দেওয়ার কাজ শুরু হবে। পরিবহন দপ্তর জানাচ্ছে, অ্যাপ নির্ভর বাণিজ্যিক সংস্থার সাথে কলকাতার প্রায় ১৫ হাজার বাইক চালক যুক্ত রয়েছেন।
আরোও পড়ুন :
এছাড়াও বিভিন্ন সরবরাহকারী সংস্থার সাথে যুক্ত রয়েছেন দেড় লক্ষর কাছাকাছি বাইক চালক। পরিবহন দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বাণিজ্যিক লাইসেন্স নিতে হবে এদের প্রত্যেককেই। যে সকল বাইক চালক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত তাদের আলাদা সিরিজের নম্বর প্রদান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে লাগু করা হয়েছে কিছু নিয়ম। যেমন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত বাইকের নম্বর প্লেট হলুদ রঙের করতে হবে।
এরফলে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে এই ধরনের মোটরবাইককে। পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর, নথিভুক্ত করনে জন্য ৩৪০ টাকা, সাধারণ বাইককে বাণিজ্যিক করার জন্য ১০৯০ টাকা, নতুন নম্বর প্লেটের জন্য ৫০০ টাকা ও ৫ জেলায় পারমিটে জন্য ২০০০ টাকা দিতে হবে। এছাড়াও সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আলাদা বিমা ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে এই ধরনের বাণিজ্যিক বাইককে।