বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি সামাল দিতে সমগ্র দেশ এখন একত্রিত হয়েছে। সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করে চলেছেন, যাতে করে এই মারণরোগ থেকে দ্রুত আরগ্য লাভ করা যায়। এই পরিস্থিতিতে সরকারকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করছে দেশের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi) যেদিন থেকে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, সেদিন থেকে প্রধানমন্ত্রী অর্থ ভাণ্ডারে প্রচুর অর্থ জমা পড়ছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ ভাণ্ডারে ৮৭০ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা জমা পড়ে। এই অর্থের পরিমাণ ২০১৫-২০১৫ সালে দাঁড়ায় ৭৫১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। আবার ২০১৬ -২০১৭ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলা জমা পড়ে ৭৯১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা এবং ২০১৭ -২০১৮ সালে জমা পড়ে ৪৮৬ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। তবে এই টাকার পরিমাণ ২০১৮ -২০১৯ সালে কিছুটা বেড়ে হয় ৭৮৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা।
তবে নরেন্দ্র মোদীর আগের প্রধানমন্ত্রীর সময়কালে কিন্তু খুব অল্প পরিমাণে টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা পড়ত। যেমন, ২০০৯ -২০১০ সালে জম পড়েছিল ১৮৫ কোটি, ২০১০ -২০১১ সালে জমা পড়েছিল ১৫৫ কোটি ১৯ লক্ষ, ২০১১ -২০১২ সালে ২০০ কোটি ৭৯ লক্ষ, ২০১২ -২০১৩ সালে ২১১ কোটি ৪২ লক্ষ, ২০১৩ -২০১৪ সালে ৫৭৭ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল।
নাগরিকদের দান ধ্যানের দিক থেকে বিচার করলেও কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী সময়কালে অন্যান্য প্রধানমন্ত্রীর তুলনায় সাধারণ মানুষ বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়েছে। বর্তমান সময়ে অর্থাৎ ২০১৮ -২০১৯ সালে ২১২.৫০ কোটি টাকা সাধারণ মানুষদের জন্য দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ১৫৯৪ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে সাধারণ মানুষদের দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কোষাগার থেকে মাত্র ৯২৯ কোটি ৯ লক্ষ টাকা মানুষের কাজের জন্য় দেওয়া হয়েছিল। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে নরেন্দ্র মোদীর সময়কালে সাধারণ মানুষ বেশি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।