বাংলা হান্ট ডেস্ক : গ্রাম বাংলা দখলের লড়াইয়ে জেলায় জেলায় ঝরল রক্ত। আজ এখনও পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলায় পঞ্চায়েতে মৃতের সংখ্যা গিয়ে ঠেকল ৩৩-এ। এই আবহে আজকে রাস্তায় নেমেছেন খোদ রাজ্যপাল (Governor if West Bengal)। তবে কার্যত নিষ্ক্রিয়ই খাকলেন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiv Sinha)।
এদিকে দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য। মধ্যমগ্রামের বাদুড়িয়ায় দেদার চলছে ছাপ্পা। তার ভিডিও ফুটেজও উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। এবার প্রশ্ন হল কোন দিচ্ছে ছাপ্পা? এর উত্তর শুনে ভিরমি লাগতেই পারে। শাসক দল তৃণমূল কিন্তু ছাপ্পা দেয় নি। এমনকি প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও নয়। বরং ছাপ্পা দিয়েছে শূণ্যে পৌঁছে যাওয়া বামেরা (Communist Party of India)। টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডও দেখে বেশ অবাক রাজ্যের মানুষ।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ভোটারকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের ৪১ /১০ নম্বর হাপুনিয়া বুথে। অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল। ঘটনার দায় বামদের ওপর চাপিয়েছে রাজ্যের শাসদকদল।
গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন। সাদা বাংলায় যাকে বলা হয় ভোট। ৮ জুলাই, শনিবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। নির্বাচনের দিন দুপুরের মধ্যে মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ১০। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া— সব মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা হিসাব করলে সেই পরিসংখ্যান আরও বেশি।
পঞ্চায়েত ভোট নাকি শান্তিতেই হওয়ার কথা। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মনোনয়ন জমার দেওয়ার প্রক্রিয়াও নাকি আদ্যোপান্ত শান্তিপূর্ণ। এমন কথা বলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও নির্বাচনের দিন এত হিংসা কেন? কোথায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা? এর উত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাজ্য সরকারও।