ঘোষণার মাত্র চার দিনের মাথায়ই অ্যাকাউন্টে ঢুকল ক্ষতিপূরণের অর্থ, কথা রাখল মমতা সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মাত্র চার দিনের মাথায়ই ক্ষতিগ্রস্থদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) ক্ষতিপূরণ। ২৯ শে মে ঘোষণার পর মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানালেন, ”আমফানের ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য ১৩৫০ কোটি টাকা অনুদানের কথা ছিল। কিন্তু এখন আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ক্ষতিপূরণের জন্য এখনও পর্যন্ত ১৪৪৪ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার।”

সমালোচিত হয় রাজ্য সরকার
করোনা বিদায় নেওয়ার আগেই আমফান ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বাংলা। লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে ঘরবাড়ি, চাষের ক্ষেত। পরপর জোড়া আঘাতের জেরে ক্ষতবিক্ষত মানুষজনদের উদ্যেশ্যে এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই অর্থ গরীব মানুষদের অ্যাকাউন্টে কবে পৌঁছাবে, আদৌ পৌঁছাবে কিনা, এই নিয়ে অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে।

aa Cover 57eem1aqk9tf0id6rf9a12rma4 20170209030458.Medi

পৌঁছে গেছে ক্ষতিপূরণের অর্থ
সমস্ত জল্পনা কল্পনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ঠিক কাকে কত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ি সারানোর জন্য প্রায় ৫ লক্ষ ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে গেছে। ২ লক্ষ পান চাষি পেয়ছে ক্ষতিপূরণ। শস্য নষ্টের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৩ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে ক্ষতিপূরণের টাকা। মোট ৩০ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে এই অর্থ।

মাত্র চার দিনের মাথায়ই পৌছাল ক্ষতিপূরণ
ঘোষণার মাত্র চার দিনের মাথায় ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দিয়ে তিনি ফের দেখিয়েদিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মানবদরদি মনের উন্মেষ। বিরোধীদের সব সমালোচনার উর্দ্ধে গিয়ে তিনি রাতারাতি সাহায্য করলেন ক্ষতিগ্রস্থদের। আবার পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আগামী ৫ ই জুন বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের কথাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

mamata banerjee 4pti jpg image 975 568

ট্যুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী
ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পর নিজের আবেগ সংযত রাখতে না পেরে একের পর এক ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইটে লেখেন, “করোনা মোকাবিলার লড়াইয়ের মধ্যে আমফান ঝড় আমাদের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেল। ভাঙ্গা বাড়ি, ধ্বংসপ্রাপ্ত কৃষি, মৎস্যচাষ আমাদের এক অনাকাক্ষিত ক্ষতির মুখে দাঁড় করিয়ে গেল। বর্তমানে ক্ষতিপূরণে বাংলার মানুষ সরকারি সহযোগিতায় মাথা তুলে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। দ্রুত সেই কাজ শুরু করেছি আমরা। একটা কিকস্টার্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুনর্গঠনের কাজে আমরা প্রথম দফায় অবিলম্বে প্রায় ৬২৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।”

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর