বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নবীন থেকে প্রবীণ রাজ্যের বিভিন্ন বয়সী মানুষের জন্য একাধিক সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সমস্ত সরকারি প্রকল্পের মধ্যে দারুন হিট ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ (Lakshmir Bhandar) এবং ‘বিধবা ভাতা’র (Widow Pension) মতো প্রকল্প। শুরু থেকেই এই দুই সরকারি প্রকল্প ব্যাপক জনপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গে। তবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ
তালিকায় এবার উঠে এল লক্ষ্মীর ভান্ডার আর বিধবা ভাতার নাম-ও। অভিযোগ দু’বছর ধরে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর (Lakshmir Bhandar) টাকা নেওয়ার পর শান্তিপুর এলাকার এক গৃহবধূ জানতে পেরেছেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই গৃহবধূর দাবি এতদিন তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার নয় বরং পাচ্ছিলেন বিধবা ভাতার টাকা। সধবা হয়েও বিধবা ভাতার টাকা নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন শান্তিপুরের বিডিও।
গৃহবধূর অভিযোগ এই ঘটনার পেছনে আসলে হাত রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর উত্তম হালদারের। মহিলার দাবি ওই তৃণমূল কর্মী তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডারে (Lakshmir Bhandar) নাম নথিভূক্ত করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা নিয়েও লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরিবর্তে তার নাম বিধবা ভাতায় নথিভুক্ত করে দিয়েছিলেন তিনি। আর এই সত্যিটা একবারের জন্য তাকে জানানো হয়নি।
শান্তিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার নাম শেফালী দে। তার স্বামী পরেশ দে’র একটি সাইকেলের দোকান রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে মহিলাদের টাকা দেওয়ার হচ্ছে একথা জানতে পারার পর থেকে একাধিকবার তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন শেফালী দেবী। কিন্তু কিছুতেই তার নাম নথিভূক্ত করা যাচ্ছিল না।
তখন তিনি প্রতিবেশী তৃণমূল কর্মী উত্তম হালদারের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। উত্তাম ওই মহিলার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার নাম লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরিবর্তে বিধবা ভাতায় নথিভুক্ত করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। শেফালী দেবীর দাবি এই বিষয়ে তাকে কিছু জানানো হয়নি। তাই অজান্তেই তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরিবর্তে এতদিন ধরে বিধবা ভাতার টাকা পেয়ে আসছিলেন।
বিষয়টি জানাজানি হল কিভাবে?
গত কয়েক মাস ধরে ভাতার টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শেফালী দেবী ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন এতদিন তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার নয় পাচ্ছিলেন বিধবা ভাতার টাকা। কিন্তু এখন সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়ার আর্থিক ক্ষমতা তার নেই। শেফালী দেবীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্তিপুরের বিডিও। অন্যদিকে অভিযোগ, ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বেপাত্তা অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী।