বাংলাহান্ট ডেস্ক : মালদহে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার রেশ কাটেনি এখনও, এরই মধ্যে আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল। এবারের ঘটনাস্থল খাস কলকাতা। অভিযোগের ভিত্তিতে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং কলকাতা পুলিশের এক ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে একটি পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রাজকুমার দাস নামের এক যুবক। পেশায় পণ্যবাহী গাড়ির চালক রাজকুমার জানিয়েছেন, সেই সময়ই একটি লাল গাড়িতে চড়ে আসে ওই দুই ব্যক্তি। তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করার পর তাঁর মানি ব্যাগ, গলার রূপোর হার, আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড নিয়ে চম্পট দেয় তারা। সর্বশ্রান্ত হয়ে এরপর বড়বাজার থানায় অভিযোগ জানান রাজকুমার। তাঁর এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তার তাতেই সামনে আসে চমকপ্রদ তথ্য।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জামির মণ্ডল এবং আকবর শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ধৃত জামিরের বাড়ি হুগলী জেলায়, চুক্তির ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের গাড়ি চালায় সে। পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার আকবর এন্টালির বাসিন্দা। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালই সামনে এসেছে মালদহের ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা। সেই ক্ষেত্রেও কাঠগড়ায় ৩ পুলিশ কর্মী। অভিযোগের ভিত্তিতে সাসপেন্ড করা হয়েছে এএসআই সহ ৩ জনকে। সেই ঘটনার শেষ কাটতে না কাটতেই খোদ মহানগরের বুকে এহেন ঘটনায় তাজ্জব শহরবাসী। পুলিশের কাজ সমাজের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া। সেখানে রক্ষকই যখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ তখন ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্যবাসী সুরক্ষা? উঠছে প্রশ্ন।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট