বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টানা পাঁচবারের সাংসদ তিনি। তবে এবার আর বহরমপুর কেন্দ্র থেকে জিততে পারেননি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত হয়েছেন কংগ্রেসের (Congress) এই প্রবীণ নেতা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে না রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গেদের দল। জানা যাচ্ছে, লোকসভা ভোটে পরাজিত হলেও সাংসদ হওয়ার দরজা এখনও খোলা রয়েছে অধীরের সামনে।
বাংলায় এবার বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তা সত্ত্বেও তেমন সাড়া জাগানো ফলাফল করতে পারেনি। সার্বিকভাবে এই রাজ্যে হাত শিবিরের ফলাফল বেশ খারাপ। তবে তাও অভিজ্ঞ এই নেতার ওপর আস্থা হারায়নি কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে, অধীরকে নাকি ভিন্ন কোনও রাজ্য থেকে জিতিয়ে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) নিয়ে যেতে পারে তাঁর দল, এইআইসিসির তরফ থেকে নাকি মিলেছে এমন ইঙ্গিত।
৪ জুন লোকসভা (Lok Sabha) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ৮ জুন দিল্লিতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে নাকি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন বহরমপুরের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নাকি তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, এখনই ইস্তফা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই। রাজ্যভেদে ফলাফল বিশ্লেষণ করে হারের কারণ চিহ্নিত করতে ভিন্ন কমিটি তৈরি করবেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। যে সকল রাজ্যে ফলাফল খারাপ হয়েছে, সেখানে নির্বাচনের ফল পর্যালোচনা করার পরেই আগামী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়! ৭৯৪ জনের তালিকা প্রকাশ করল সংসদ, কাদের কপাল খুলল?
এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে, বাংলায় ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করার জন্য ২১ জুন মৌলালিতে যুব কেন্দ্র বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে প্রদেশ নেতৃত্ব এবং দলের প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন বলে খবর। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর ওই পর্যালোচনা বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দেবেন। তার আগে প্রদেশ নেতৃত্বে বদল হওয়ার কোনও রকম সম্ভাবনা নেই বলে খবর।
এই আবহে আবার শোনা যাচ্ছে, বাংলার অধীরকে দিল্লির রাজনীতিতে চাইছে কংগ্রেসের একাংশ। কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠকেই নাকি অধীরকে দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘দিল্লির বাংলো আপনি ছাড়বেন না’। এতদিন সাংসদ থাকার কারণে দিল্লিতে বাংলো পেতেন অধীর। তবে এবার পরাজিত হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী সেই বাংলো ছেড়ে দেওয়ার কথা। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে বাংলো না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একথা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
তাহলে কি অধীরকে অন্য কোনও রাজ্য থেকে জিতিয়ে রাজ্যসভায় পাঠানো হবে? নাকি কোনও আসনের উপনির্বাচনে দাঁড় করানো হবে তাঁকে? রাহুল গান্ধী এবার দু’টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দু’টিতেই জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে কেরলের ওয়ানাড আসন থেকে যদি তিনি পদত্যাগ করেন, তাহলে কি সেখানে দাঁড় করানো হবে অধীরকে? দেখা দিয়েছে এমনই নানান প্রশ্ন। যদিও উত্তর এখনও অধরা।