বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিরোধীদের দাবি অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে না যেন শুয়ে পড়েছে ভারতে। অন্যদিকে বেকারত্বের জেলায় পুরছে ভারতের একাধিক যুবসমাজ। আর এই দাবিকে নস্যাৎ করতে এবার মাঠে নেমেছে কেন্দ্র সরকার। সার্কুলারে বলা হয়েছে প্রতি মাসের পাঁচ তারিখে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সেই মতো প্রথম রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।
গত নভেম্বেরে সংসদে সরকার জানিয়েছে ২০১৮ সালেই শূন্য পদের সংখ্যা ছিল সাত লাখের মতো। এর পরেও নতুন ১.৫৭ লাখ পদ সৃষ্টি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়াকে কার্যকারণের দিকে নিয়ে যাওয়ার দিকে ভাবছে কেন্দ্র সরকারের সমষ্টিগন।
আর যদি এই লক্ষ্যমাত্রাকে তারা পুরোপুরি ভাবে পূরণ করে দিতে পারে তবে দেশে বেকারত্বের হার অনেকটাই কমবে বলে আশা করছে বিশেষজ্ঞমহল। দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে রেলএর কর্মী নিয়োগ। আর এই কর্মীর পদ এখন ফাঁকা রয়েছে। যদিও মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি থেকে আরম্ভ করে সমস্ত বকেয়া পূরণ করছে কেন্দ্র সরকার।
২০১৮ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সব দফতর মিলিয়ে মোট কর্মী ছিল ৩১.১৮ লাখ আর মোট পদ ছিল ৩৮ লাখের বেশি। ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পদ সৃষ্টি হয় ১.৫৭ লাখ। সেই সময়ে মোট পদ ছিল ৩৬.৪৫ লাখ। ২০১৪ সালে মোট কর্মীসংখ্যা ছিল ৩২.২৩ লাখ।ভারতীয় রেলে ২০১৮ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত শূন্য পদ ছিল ২.৫ লাখ। প্রতিরক্ষায় শূন্য পদ ছিল ১.৯ লাখ।