মুর্শিদাবাদের পর বীরভূম! প্রতীক জমা দিয়ে ফেরার পথে কংগ্রেস প্রার্থীর আত্মীয়দের মেরে আধমরা করল তৃণমূল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) শুরুর আগেই রাজ্য জুড়ে ধুন্ধুমার। কোথাও যাচ্ছে প্রাণ, কোথাও শাসকদলের রোষের মুখে বিরোধীরা। মনোনয়ন পর্বেই যেই ভয়ঙ্কর অশান্তির চিত্র উঠে এসেছে তা দেখে শিউরে উঠছেন অনেকেই। গ্রাম-বাংলার নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও নির্দেশ মানা তো দূর, উল্টে আইনের খেলায় মত্ত সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে জেলায় জেলায় ভয়াবহতা যে লাগাতার বাড়ছে সেই কথায় শীলমোহর বসালো গতকাল বীরভূমের এক ঘটনা।

মুর্শিদাবাদের পর এবার বীরভূম। বুধবার বীরভূমের (Birbhum) ময়ুরেশ্বর ২ব্লকের উলকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুনাগ্রামে তৃণমূলের (Trinamool Congress) দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রন্ত হলেন কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীর আত্মীয়রা। জানা গিয়েছেন ওই প্রার্থীর সিম্বল জমা দিয়ে বিডিও অফিস থেকে ফেরার সময় তাদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। পিটিয়ে প্রায় আধমরা করা হয় তাদের।

অভিযোগ ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লক অফিস থেকে মহিলা কংগ্রেস প্রার্থীরা দলীয় সিম্বল জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় উলকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান সামসোর আলম মোল্লা স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীর দুই দেওরকে বেধরক মারধর করে। যার জেরে ঘটনস্থলেই অচেতন হয়ে পড়ে দু’জন।

আক্রান্তদের এক আত্মীয়র বলেন, আমরা আগে তৃণমূল করতাম। কিছুদিন হল কংগ্রেসে যোগদান করেছি। সেই জন্যই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দিনে দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় আমার ২ ভাইকে মেরে আধমরা করে দিয়েছে। রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে তারা।

tmc congress 2

তার আরও অভিযোগ, রাজ্যে কেন কেউ কোনও বিরোধী দল করতে পারবে না? কেন বিরোধীদের নিরাপত্তা দেবে না পুলিশ? এর বিচার চাইছেন তারা। গতকাল খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ।

আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তারা ময়ূরেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে। অন্যদিকে, স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ওপর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর