বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরপর দুদিন একই ঘটনা! দুই প্রবীণ নেতার দলত্যাগ আর তার জেরে এই বর্তমানে বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে দেশের প্রধান বিরোধী দল ‘কংগ্রেস’ (Congress)। গতকাল গুলাম নবি আজাদের পর এদিন তেলেঙ্গানা নেতা এমএ খান (MA Khan) ছাড়লেন কংগ্রেসের ‘হাত’। একইসঙ্গে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপড়ে দিয়ে তাঁর দাবি, “দলের পতনের জন্য মূল কারণ রাহুল গান্ধী।”
কংগ্রেসের ভিতর ভাঙন অব্যাহত। একের পর এক নেতা ছেড়ে চলেছে তাদের সঙ্গ। এই প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে বিশেষ প্রতিক্রিয়া না দেওয়া হলেও দল যথেষ্ট চাপে রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষত যেভাবে একের পর এক প্রবীণ নেতা মূলত রাহুল গান্ধীর ওপরেই দোষ চাপিয়ে চলেছেন, তা বর্তমানে কংগ্রেস দলের জন্য যথেষ্ট মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দেশের বুকে ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে সরাতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। সেই তালিকায় রয়েছে কংগ্রেসও। তবে যেভাবে বর্তমানে একের পর এক নেতারা দল ছেড়ে চলেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। গতকাল কংগ্রেস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ আর এদিন তাঁর সুরে সুর মিলিয়েই অবশেষে দলত্যাগ করলেন তেলেঙ্গানার নেতা এমএ খান।
রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ এমএ খান দল ছাড়ার মুহূর্তে রাহুল গান্ধীর ওপর সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, “কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলাম। রাহুল গান্ধী সভাপতি হওয়ার পর থেকে দল ক্রমশ ডুবছে। ওর চিন্তাভাবনার সঙ্গে অন্য কারোর চিন্তা ভাবনা মেলে না। ব্লক থেকে বুথের নেতাকর্মী এবং দলের সমর্থকদের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর মতের মিল নেই।” তিনি আরো বলেন, “যে সকল বর্ষীয়ান নেতাদের ওপর নির্ভর করে কংগ্রেস শক্তিশালী হয়েছিল, তারা বর্তমানে একের পর এক পদত্যাগ করে চলেছেন। সিনিয়র নেতাদের সম্মান দিতে জানে না রাহুল গান্ধী। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি। আগামী সময় কংগ্রেসের জন্য অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে।”
গতকাল একইভাবে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে দল ছাড়েন গুলাম নবি। এদিন অনেকটা সেই সুরেও এমএ খান বলেন, “ইন্দিরা গান্ধী থেকে রাজীব গান্ধী এবং সঞ্জয় গান্ধীর আমলে কংগ্রেসের যে দায়বদ্ধতা ছিল, তা বর্তমানে হারিয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের পদক্ষেপ বিশেষ উল্লেখযোগ্য নয়। সেই কারণে সকলে দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।” ফলে এই মুহূর্তে প্রশ্ন, যেখানে আর দুই বছরের কম সময়ে লোকসভা নির্বাচন, সেই মুহূর্তে যদি একের পর এক নেতা দল ছাড়তে থাকেন, তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে কংগ্রেস? যদিও এখনো পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে দলের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি।