বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনে ভরাডুবির পর রাজ্যে আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট এবং দলকে পরিচালনা করা নিয়ে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) বিরুদ্ধে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকি নির্বাচন চলাকালীনও কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতারা অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করেছিলেন। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর আরও বিড়ম্বনায় পড়ে বঙ্গ কংগ্রেস। কারণ কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব অস্তিত্ব বাঁচাতে আর বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে চলার কথা বলে। আরেকদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী মনোভাব আপন করে চলেন। আর এবার এতকিছুর মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলায় উল্টো সুর শোনা গেল।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জয়ী হতে পারেননি। আর ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকতে হলে আগামী ৫ মাসের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য একটি আসন বেছে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের চিরাচরিত আসন ভবানীপুর থেকেই লড়তে চলেছেন। আর এরজন্য ওই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফাও দিয়ে দিয়েছেন।
যদিও, উপনির্বাচন কবে হবে সেটা এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, এবার ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবেনা কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও, অধীরবাবু জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে যে, এখনই সম্মান কেন? নির্বাচনের আগে কেন মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান দেওয়ার প্রচেষ্টা করেনি কংগ্রেস? তাহলে কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করার বার্তা এসেছে? এই প্রশ্নগুলোই এখন রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে সামনে রেখে লড়ার চিন্তাভাবনা নিচ্ছে কংগ্রেস। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।